পৃথিবী তে সব চেয়ে বড় অত্যাচার হলো ভালোবাসার অত্যাচার

আমার সাথে একটা মেয়ের রিলেশন ১+ বছরের। আমরা সেইম এইজ। ওর সাথে থাইকা আমি মেনটাল্লি সিক হয়ে গেছি। আমার আর ধৈর্যশক্তি নাই। ওর মধ্যে অনেক সমস্যা আছে। ও প্রচুর জেদি। ও আমাকে স্বাধিনভাবে চলতে দেয় না। ও যেটা বলে আমাকে সেটাই শুনতে হয়। ওরে যদি এগুলা নিয়া কিছু বল তাইলে ওয় জিদে হাত কাটে, উল্টাপালটা পাগলামি করে। ও চায় আমি ওর কথায় উঠি আর বসি। ও আমার ফ্রেন্ডদের সাথে মিশতে দিতে চায় না। আমি বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিলে এটা নিয়া অনেক ঝামেলা করে। ওয় মনে করে ওর থেকে আমি আমার ফ্রেন্ডদের মুল্য বেশি দেই। এইজন্য ও আমার ফ্রেন্ডদের সাথে সম্পর্ক নষ্ট করার জন্য জোর করে প্রচুর।
পৃথিবী তে সব চেয়ে বড় অত্যাচার হলো ভালোবাসার অত্যাচার

আমি ওরে অনেক সুন্দর করে বুঝাইছি কিন্তু ওয় বুঝতে চায় না। ও যদি এখন বলে চলো ঘুরতে যাবো তাহলে ওকে মানা করা যায় না। আমার ভার্সিটি থাকলেও ও আমাকে জোর করে। ওর লজিক "আমি বড় নাকি ভার্সিটি বড়?"। আমি তখন রাগ হয়ে বলি আমি পারবো না। তখন ওয় জিদে ব্লেড দিয়া হাত কাটে। ‌আমি ভার্সিটি তে ক্লাস এর পর একটা কোর্স করি। দেখা যায় বাসায় আসতে আসতে রাত হয়ে যায়। তাই ওর সাথে ২ ঘন্টা কথা বলে ঘুমানোর কথা বললে আমাকে ঘুমাইতে দেয় না। যদি বলি ঘুমাবো আমি অনেক টায়ার্ড তাইলে ওয় অনেক ঝগড়া করে। ‌

একবার ওর সাথে ঘুরতে যাওয়ার কথা ছিলো। কিন্তু আমার আপুকে নিয়া হাসপাতাল যাইতে হবে তাই ওরে বলসিলাম আজকে যাইতে পারবো অন্যদিন চলো। ওয় এটা নিয়াও অনেক ঝামেলা করসে। এভাবে ও প্রতিটা জিনিস নিয়া এমন করে। এমন কোনো দিন নাই যে ওয় ঝগড়া করে না। আমি অরে সামনাসামনি হাতে হাত রাইখা অনেক বুঝাইছি কিন্তু ও একটুও বুঝে না। ১ দিন ঠিক থাকলে আবার সেইম কাজ টাই করে। ‌ ‌ও যদি বলে এখন ফোনে কথা বলবো ফোন দাও আমার বাসায় মানুষ থাকলেও সেটা শুনবে না। ওরে ফোন দিতেই হবে। আমি যদি তখন একটু হার্ড হয়ে যাই তাইলে হাত কাটবে। ‌মানে একটু এদিক সেদিক হলেই ও হাত কাটবে আর পাগলামি করবে।

ওর আম্মুকে ওর কাজিন আমাদের রিলেশনের কথা বলে দিসে ওর অবস্থা দেইখা। ওর আম্মু ওরে হাত পা ধইরা কান্নাকাটি কইরাও বুঝাইসে বাট বুঝে নাই। ওর আম্মু ওরে নিয়ে অনেক টেনশনে আছে। কারণ ও যে সাইকো তাতে যেকোনো কিছুই করতে পারে। সেও চায় আমাদের সাথে রিলেশন যাতে না থাকে। কারণ ওর আব্বু জানতে পারলে ওরে ঘর থেকে বের করে দিবে। ওর আব্বু অনেক রাগি। এইসব প্রেম পছন্দ করে না তার উপর যদি এইসব কাহিনি শুনে তাইলে অনেক প্রবলেম হবে। ‌ ‌

এখন আপনারা প্রশ্ন করতে পারেন এত সমস্যা হইলে ব্রেকাপ করে ফেলেন। ওর সাথে ব্রেকাপ করার অনেক ট্রাই করছি কিন্তু ওয় বলে ব্রেকাপ করলে সুইসাইড করবে। ওয় এত পরিমাণ সাইকো হয়ে গেসে যে ওর দারা সুইসাইডও সম্ভব। প্রতিটা জিনিস নিয়ে ওয় আমার সাথে কেচাল করে। ওয় যদি বলে ডানে তাইলে ডানে যাইতে হবে আর যদি ভলে বায়ে তাইলে বায়ে। একটু এদিক সেদিক হইলে হাত কাটবে। ওর হাত পুরা নষ্ট করে ফেলসে কেটে। বিশ্বাস করেণ আমি পুরা ভেঙে পড়ছি। সামান্য কিছু নিয়া আমাকে ব্লাকমেইল করে। হয় শুনো নয়তো উলটা পালটা করে ফেলবো।

ওর এতই জিদ যে যখন জিদ উঠবে আমাকে দিয়া সেটাই করাবে। তাতে আমার কোনো সমস্যা হলো কিনা সেটা দেখবে না। রেগুলার ঝগড়া করবে আর উলটা পালটা বিহেভ করবে।

কাল একটা জিনিস নিয়া একটু ঝগড়া করসি এইজন্য ও ব্লেড দিয়া হাত কেটে পুরা মাংস বের করে ফেলসে। ৬ টা সেলাই লাগসে ওর। ওর আম্মু দেইখা পুরা পাগলের মত হয়ে গেসে। ওর আম্মু ওর আব্বুকে বলতেও পারতেছে না কারণ ওর আব্বু এইটা নিয়া অনেক ঝামেলা করবে। ওর আব্বু অনেক রাগি। এগুলা শুনলে আমার ফ্যামিলি তে আইসা অনেক সমস্যা করবে। আমি চাই না এইসব এখন ফ্যামিলিকাল পর্যায়ে যাক। আমার আব্বু এম্নেই সহজ সরল মানুষ এইসব নিতে পারবে না :(

ওর সাথে আমি রিলেশন সুন্দরভাবে চালাইতে চাইসি কিন্তু সেটা আর পসিবল না।
ওর মানসিক অত্যাচার দিন দিন বেড়েই চলতেসে। ওর বোন কাজিনরা সবাই ওর কর্মকান্ডে অতিষ্ঠ। ওরে বুঝায় না এমন কেউ নাই তাও ও বুঝতে চায় না। ওরে আমি ছাড়তে চাইতেছি কিন্তু ও সুইসাইডের ভয় দেখায় তাই পারতেসি না। আমি এখন কি করবো? একে তো ওর বাপ জানলে আমার ফেমিলির সাথে ঝামেলা করবে আবার আমিও ওরে ছারতে পারতেছি না ওর সুইসাইডের ভয়ে। আমি এখব কি করবো আমাকে একটু সাজেশন দিন...
রেসিপি দেখুন
No comments :

No comments :

Post a Comment