মরুর ফুল ১০

বড় লোকের মেয়েদের নিয়ে গরীবের স্বপ্ন দেখা পাপ। যে পাপে মানুষ জ্বলে কিন্তু কেউ দেখতে না, কাউকে বলাও যায় না। আর সেই মেয়ে যদি সুন্দরী হয় তাহলে তো কথাই নেই। জায়েদ মদীনায় দেখেছে সেখানকার সুন্দরী মেয়েদের বিভিন্ন গোত্র প্রধান অথবা বংশের সবচেয়ে ধনী ব্যাক্তিরা বিয়ে করতেন। আর বড়লোকের মেয়েদের বিয়ে হত শুধু মাত্র বড়লোকের ছেলের সাথে। মেয়েদের জন্মের সময়ে বাবা জীবন্ত কবর দিতে চাইলেও বিয়ের সময়ে ঠিকই বড়লোক পাত্র খোঁজে। এটা ওদের কাছে মান সম্মানের ব্যপার। আর মেহরিনের কথা তুলনা করলে মেহরিনকে পারিবারিক ভাবে বিয়ের প্রস্তাব দিবে এমন সৌভাগ্যবান পরিবার পুরো আরবে নেই। কারণ আরবের সবচেয়ে বড় ধনী ইরানের মধ্য বিত্তের সম পর্যায়ের হবে। ধরা যাক মেহরিন কোন রাজকীয় পরিবারের মেয়ে নয় তাহলেও কি জায়েদ মেহরিনকে নিয়ে চিন্তা ভাবনা করতে পারত? না, পারত না। কারণ মেহরিন যেহেতু অসাধারণ সুন্দরী তাই তাকে ............ নিজের অসহায়ত্বের কথা ভেবে জায়েদ আফসোস করতে লাগল। সে ভাবতে লাগল ইয়াসরিবের (মদীনা) দিন গুলোর কথা। জন্মের পর থেকে সে দেখেছে যুদ্ধ আর যুদ্ধ। প্রেম ভালবাসার স্থান সেখানে ছিল না। বাবারা নিজের সদ্য ভূমিষ্ট মেয়েদের জীবন্ত কবর দিয়ে গর্বের সাথে প্রচার করে। মুসলমানরা আসার পর থেকে এখন নাকি এসব বন্ধ হয়ে গেছে। জায়েদ এটা ভেবেই পাচ্ছে না এক বিদেশী ব্যাক্তির আহবানে দুই আজন্ম শত্রু কীভাবে যুদ্ধ বন্ধ করল? কেনই বা তারা মক্কার সবচেয়ে শক্তিশালী কোরাইশ বংশের আহবানে নবীকে তাদের হাতে তুলে দিচ্ছে না? কেনই বা মদীনাবাসীরা এক হয়ে মুসলমানদের শ্ত্রুকে নিজের শত্রু ভেবে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে যুদ্ধ করছে। শুনেছে উহুদের যুদ্ধে নবীর সবচেয়ে প্রিয় চাচা নিহত হন। এক হাবশী সেই চাচাতে বল্লম ছুঁড়ে হত্যা করে আর এক মহিলা সেই চাচার শরীর থেকে কলিজা বের করে সেই কলিজা ভক্ষণ করে! ভাবতেই জায়েদের বমি চলে আসছে। এসব কথা পুরো আরবের মুখে মুখে। একটা জিনিস জায়েদ বুঝতে পারছে- ইসলাম হচ্ছে আরবের উদীয়মান শক্তি। দিন দিন যে হারে এই শক্তি বৃদ্ধি পাচ্ছে তাতে একদিন পুরো আরব জাহান একটি রাষ্ট্রে পরিণত হবে। জায়েদ ইরান-রোম সম্রাজ্য দেখার পরে ভাবত ইশ আরবের যদি এরকম একটা রাষ্ট্র থাকত! জায়েদের সেই স্বপ্ন মনে হচ্ছে পূরণ হতে যাচ্ছে। কিন্তু জায়েদ আরেকটা জিনিস ভাবছে, সেটা হল রোমান আর ইরানীদের নিয়ে। আরবরা এখন মূলত দুই ভাগে বিভক্ত। আরবের মূর্তি পূজারীরা ইরানীদের পক্ষে আর খ্রিস্টান আরবরা রোমানদের পক্ষে। আর আরবের ইহুদীরা সুযোগ বুঝে কেউ ইরানীদের ও কেউ রোমানদের পক্ষে। রোম-ইরানের সেনা দলের একটা ভাল অংশের যোগান আসে আরব থেকে। আরব যদি পূর্ণাঙ রাষ্ট্র হয় তাহলে ইরান ও রোম কেউ তাদের সহ্য করবে না। মুসলমানরা আর দুই একটা এলাকার জয় করতে পারলে রোমান সম্রাট ও ইরানী শাহের কাছে মুসলমানদের অগ্রগতির খবর চলে যাবে। তখন তারা মুসলমানদের অঙ্কুরেই বিনষ্ট করে দিবে। পুরো আরবের জনগণ এক হলেও সংখ্যায় তারা রোমান সেনাবাহিনীর অর্ধেক হবে না। আরবের সবাই যদি এক হয়ে ইরানীদের বিপক্ষে লড়ে সেক্ষেত্রে ইরান শুধু তার একটা বাহিনীকে পাঠালেই চলবে- ধুলার মত উড়ে যাবে আরব।
আরবের কথা ভাবার সাথে সাথে মায়মুনার কথাও মনে পড়ল। আজ মায়মুনার স্বামীর সাথে পরিচিত হল। মায়মুনার দুইটা ছেলে হয়েছে। সময়ের স্রোতে কে যে কোথায় ভেসে যায় তা জায়েদ অবাক হয়ে ভাবছে। ভাবতে ভাবতে কখন যে মেহরিন রুমে ঢুকেছে সে দিকে জায়েদের খেয়াল নেই।
“বিয়ে বাড়ীতে সবাই আনন্দ করছে আর আপনি মন খারাপ করে বসে আছেন কেন?” মেহরিন কি জায়েদের মনের কথা ধরতে পেরেছে?
“কই? মন খারাপের কী আছে?” জায়েদ তার চোখ লুকাতে চাইল। মেহরিন যদি তার চোখ দেখে কিছু বুঝতে পারে।
“মক্কার কথা শোনার পর পরই আপনার মুখে একটা পরিবর্তন দেখেছি। আপনি আপনার মুখ লুকানোর চেষ্টা করলেন। বিশেষ করে ঐ আপুটার কথা শোনার পরে, মায়মুনা।” মেহরিন জায়েদের দিকে তীক্ষ্ণ চোখে তাকাল “আমি কি ভুল দেখেছি?”
“না, এমনিতেই শরীরটা একটু কেমন যেন করছে.....
“আপনি এখনো আমার কাছ থেকে কিছু লুকাচ্ছেন” মেহরিন জোর করল।
জায়েদ এবার মেহরিনের চোখের দিকে তাকাল। সে চোখে পরাজিতের চোখ “মানুষের কিছু ঘটনা থাকে যা মনে করলেই মন খারাপ হয়ে যায়। আমার জীবনে এরকম ঘটনাই বেশি। ষোল বছর বয়সেই আমি এলাকা ছাড়া হয়েছি। বাবা মা ভাই বোন সবার কাছ থেকে দূরে পালিয়ে গেছি। ছট বোন একন কোথায় আছে তাও জানি না। এই মুহুর্তে বাড়ী থেকে মাত্র অল্প দূরত্বে অবস্থান করছি অথচ সেখানে যেতে পারছি না। সেখানে গেলে আমার পুরনো সৃতি মনে পড়বে। যে সৃতি ভোলার জন্যই আমি আরব ছেড়ে ইরানী সেনা বাহিনীতে যোগ দিয়েছি।”
“আজ বিয়ের ঝামেলা শেষ হোক। আগামীকাল আমি আপনার সব কথা শুনব। এখন দয়া করে একটু হাসুন। বাইরে সবাই আনন্দ উল্লাস করছে। বিয়ে বাড়ীতে কেউ মন খারাপ করে বসে থাকবে তা দেখতে কেমন লাগে?”
জায়েদের সাথে থাকা ছয় জন গোয়েন্দা বেশ মজা করছে। সবার জন্য মদের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ওরা মদের নেশায় বুঁদ হয়ে আছে। আরবে তখন মদ খাওয়া ছিল পানি খাওয়ার মত। উৎসব উপলক্ষ্যে মদ পরিবেশন করা হত। জায়েদের সেদিকে আগ্রহ নেই। তার মাথায় এখন নতুন চিন্তা-মেহরিন।
মেহরিন আজ সুন্দর সাজে সেজেছে। বিয়ে বাড়ীর আগ্রহের কেন্দ্র বিন্দু বর কণে হলেও এই বিয়েতে সবার চোখ পড়েছে মেহরিনের উপর। সাজের কারণে তাকে রাজ কণ্যার মত লাগছে। তাকে দেখে নিজেকে আরো অসহায়, গরিব মনে হচ্ছে। ছয় গোয়েন্দার এক গোয়েন্দার নাম আব্বাস। সবাই একটু দূরে মদ খাচ্ছিল। নেশার ঘোরে আব্বাস বলছিল “ইরানের রাজ কণ্যা ইরানে যাচ্ছে না, যাচ্ছে রোমান কয়েদখানায়। সেখানে রোমান সেনারা তার সাথে কী আচরণ করবে তা আমরাই তো করতে পারি” কৌতুকের সূরে বলে পাশের সৈনিকের দিকে তাকাল। ঐ সৈনিক হো হো করে হাসল। সে বলল “এরকম জিনিস আমি জীবনে দেখি নাই। শপথ করে বলছি, এই জিনিস পেলে আমি জীবনে আর বিয়েই করব না।” জায়েদের কানে কথা গুলো বিষের মত লাগল। এই মুহুর্তে কোন ভেজাল করা যাবে না। ফাঁস হয়ে গেলে সকলের মৃত্যু নিশ্চিত। সেনাদের কাছে গিয়ে বলল “মেহরিনের বিষয়ে আর একটা কথা যদি তোমরা বল তাইলে তোমাদের চোখ উপড়ে ফেলব”
নেশায় মত্ত এক সেনা বলল “তুমি ত ঠিকই মজা লুটছ। তোমাকে পাশে বসিয়ে আপ্যায়ণ করে, কাছে গিয়ে কথা বল। তুমি ওর প্রেমে হাবুডুবু খাচ্ছ। ঘুমানো সময় ওর তীর কাছে রাখ। আমাদের কি মজা করতে দিবে না? ওকে তুমি জীবনেও পাবে না। তার চেয়ে এক কাজ কর- ওকে রোমানদের হাতে তুলে দেয়ার আগে আমরা মজা করে নেই। তুমি আমি সবাই সমান ভাগ পাব।” জায়েদের মাথায় রক্ত চড়ে গেল। সে সৈনিকের গলা চেপে ধরল “ঐ দিকে যদি তোমার চোখ যায় তাইলে ঐ চোখ অন্ধ করে দিব।” বলে গলা ছেড়ে দিল। সৈনিকটি নিজের গলা ধরে ম্যাসেজ করতে লাগল, সে ভাল ব্যাথা পেয়েছে।
চোখ লাল করে সে বলল “তোমার মত ফকির এইসব রাজকণ্যার দেখা পেয়েছ এটাই বেশি। এখনো সময় আছে, আমাদের সাথে হাত মেলাও। এই এলাকার বাইরে গিয়ে মরুভূমিতে নিয়ে... ” জায়েদ এবার তাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিল, তার উপরে চেপে তার গলা আবার চেপে ধরল। বাকী পাঁচ সৈনিক জায়েদ ও আব্বাসকে পেছন দিক দিয়ে ধরে দুই জনকে লড়াই থেকে দূরে রাখল। ইতি মধ্যে মার খেয়ে আব্বাসের মাতলামি কিছুটা কমেছে। সে যে একজন গোয়েন্দা তা মনে পড়ল। মদ খেয়ে মাতাল হলে মানুষের হুশ থাকে না, মারামারি ধ্বস্তা ধ্বস্তি করে, এটাকে কেউ গুরুত্ব দিল না। এরকম ঘটনা প্রায়ই হয়। কিন্তু একজন এই ঘটনাকে গুরুত্ব দিল, সে মেহরিন। সৈনিকরা দূর থেকে কথা বললেও মেহরিন তার নিজের নামটা স্পষ্ট শুনতে পেল। বুঝল মারামারির কারণ মেহরিন। এছাড়া ইরানী সৈন্যদের চরিত্র তার জানা আছে। যুদ্ধে কোন দেশেকে হারাতে পারলে তারা সেই দেশের ঘরে ঘরে ঢুকে পড়ে। সেই দেশের নারীদের ইজ্জতের উপরে হামলা চালায়। কেউ বাঁধা দিলে তাকে মেরে ফেলে।
বসফরাসের এপাড়, খালেকদুনের দরবার। তার তাঁবুটা পাহাড়ের চুড়ায় করা হয়েছে যেখান থেকে রোমান সম্রাটের মহল দেখা যায়। খালেকদুন খুব চিন্তিত। তার হাতে পালিয়ে যাওয়া সেনাদের তালিকা। যুদ্ধে পালিয়ে যাওয়া স্বাভাবিক ঘটনা। অনেক সৈন্য নিয়মিত পালিয়ে যায় আবার অনেক নতুন সৈন্য আসে। বিশেষ করে, পরাজিত পক্ষে সৈন্যরা যখন মনোবল হারিয়ে ফেলে তখন তারা পালাতে শরু করে। কিন্তু ইরানী বাহিনীর এমন কোন ঘটনা ঘটেনি যে সৈন্যরা পালাবে। কারণ এখনো দুনিয়ার বেশিরভাগ জায়গা ওদের দখলে আছে। কিন্তু এবার সে যে তালিকা পেল তা সন্দেহের। ইরানী গোয়েন্দা প্রধান খালেকদুনের সামনে বসে আছে।
“তুমি কি কিছু সন্দেহ করছ?” খালেকদুন পলাতকদের তালিকার দিকে তাকিয়ে জিজ্ঞস করল।
“গত কাল এক রোমান গোয়েন্দাকে হাতে নাতে ধরেছি। রাতের বেলা সে পাহাড়ের উপরে তিনটা মশাল জ্বালিয়েছিল। আমাদের সেনা গোয়েন্দা খেয়াল করে দেখল সাগর পাড়ে রোমান নৌবাহিনীর একটা জাহাজেও মশাল জ্বালানো হয়েছে। আমাদের গোয়েন্দা সন্দেহ করেছে তারা মশালের আলোর মাধ্যমে কোন সাংকেতিক ভাষায় তথ্য আদান প্রদান করছে যেটা আমাদের গোয়েন্দারাও করে থাকে। সন্দেহ বশত তাকে গ্রেফতার করি। তার তাঁবু তল্লাশী চালাতে গেলে দুই তিনটা কাগজ পাই। সেগুলোতে বিভিন্ন সাংকেতিক চিহ্ন। জিজ্ঞাসাবাদে সে কিছু স্বীকার করেনি। পরে তাকে হাশিস খাইয়ে দেয়া হলে গড় গড় করে সব তথ্য বলে দিচ্ছে। সে এই ছাউনিতে অবস্থিত পাঁচ জন রোমান গোয়েন্দাকে চিনে। ঐ পাঁচ জনকে গ্রেফতার করতে গিয়ে দেখি একজন বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করেছে, সে মনে হয় গোড়া খ্রিস্টান। একজন পালিয়েছে, তাকে ধরার জন্য চারিদিকে লোক পাঠিয়েছি। বাকী তিন জনকে ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
একজন তো মার খেয়ে সব স্বীকার করেছে। সে জানাল, কী একটা অপারেশনে গত কয়দিন আগে এখান থেকে সাত জন সেনা পালিয়ে সিরিয়া গেছে। সেই সাত জনের তালিকা দেখলাম। এদের মধ্যে একজনকে আপনার কথা অনুযায়ী দুইবার পদোন্নতি দেয়া হয়েছিল, তার না জায়েদ। সে পাঁচ হাজার ঘোড় সওয়ার বাহিনীর সালার ছিল।
জায়েদের কথা শুনে খালেকদুন একটু বিচলিত হলেন- দুনিয়ার কাউকেই কি বিশ্বাস করা যায় না? এই ছেলেটা বাবা মায়ের সাথে রাগ করে আরব ছেড়ে চলে এসেছে, আরমেনিয়া যুদ্ধে হারার পরেও তাকে পদোন্নতি দেয়া হল, সে যে একটা বেঈমান সেটা কে জানে?
“বাকী সবার বাড়ীই আরবে, তবে বিভিন্ন স্থানে।” গোয়েন্দা প্রধান বললেন।
“সিরিয়ার সীমান্ত চৌকি থেকে কেউ এসেছে?” খালেকদুন জিজ্ঞেস করলেন।
“গতকাল একজন এসেছে”
“তাকে এখনই নিয়ে এস” খালেকদুনের কন্ঠে উদ্বেগ।
সিরিয়া থেকে যে দূরত এসেছে সে খালেকদুনের সামনে দাঁড়িয়ে আছে। সে জানাল গত এক মাসে দেড় মাসে খালেকদুনের কোন দূত সীমানা পাড়ি দিয়ে আরবে যায় নি। খালেকদুন যদি কোন দূত পাঠায় সেই দূত সিরিয়া সীমান্ত পার হবার সময় ঐ এলাকার প্রধান সীমান্ত রক্ষীকে জানায়।
“তার মানে আমার পাঠানো দূত এখনো সিরিয়ায় পৌঁছেনি!” তাহলে কি রোমানরা তাকে ধরেছে? তাকে যদি ধরেই থাকে তাহলে তার সাথে থাকা চিঠি নিশ্চয়ই পেয়েছে। আর যদি চিঠি পেয়ে থাকে তাহলে সেখানে লেখা দেখবে তার স্ত্রী সন্তানকে মাদায়েন পাঠানোর জন্য বলা হয়েছে এবং এও বলা হয়েছে তারা যেন এই দূত ও তার সাথীদের সাথে মাদায়েন পৌঁছে যায়। চিঠিতে ছয় দূতের সাথে ছয় জন ইরানী সেনার কথা বলা হয়েছে যারা পাহারাদার হিসেবে থাকবে।
এই সাত জনের সাথে কি পালিয়ে যাওয়া সাত জন আরব সৈনিকের কোন সম্পর্ক আছে? খালেকদুনের হঠাত মনে পড়ল, আজ থেকে চার বছর আগে এই জায়েদকে দিয়েই তার স্ত্রী সন্তানকে আরবে পৌঁছে দেয়া হয়েছিল। এখন জায়েদের নেতৃত্বে যদি এই ছয় সেনা আরবে তার শশুরবাড়ীতে পৌঁছে সেই চিঠি দেখায় তাহলে তার স্ত্রী ও সন্তানেরা তাদের সাথে ইরানের পথ ধরবে। আর জায়েদ নিশ্চয় তাদেরকে ইরানে নিয়ে যাবে না। আরব সীমানা পার হয়ে রোমানদের কাছে ধরিয়ে দিবে।
“সর্বনাশ হয়ে গেছে। জায়েদ আমার শশুড়বাড়ীতে গেছে। তুমি এখনই একশ জনের একটা চৌকস দল পাঠাও। তারা যেন ঝড়ের বেগে আরবে পৌঁছে। বাড়াবাড়ি করলে জায়েদকে যেন হত্যা করে। আর আপোষে ধরা দিলে তাকে সোজা এখানে নিয়ে আসবে, আমি তাকে নিজ হাতে হত্যা করব।”
রেসিপি দেখুন