মরুর ফুল ২৪

সেদিন সকালে যা হয়েছিল-
বাহরাম যখন কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে কারাগারের প্রধান ফটক দিয়ে বের হচ্ছিল ঠিক সেই সময় বিলকিসের নিয়োগকৃত আততায়ী মাসউদ কারাগারে প্রবেশ করছিল। রাজকীয় সেনা অফিসার হিসেবে দুই জন দুই জনকে চিনে। মাসউদকে দেখে বাহরাম তেমন কোন গুরুত্ব না দিলেও বাহরামকে দেখে মাসউদের মনে সন্দেহের সৃষ্টি হল। কারাগারের ভেতরে গিয়ে সে যখন জানতে পারল বাহরাম ও জায়েদ কারাগারের একই কক্ষে অবস্থান করছিল তখন তার সন্দেহ দৃঢ় হয়। বাহরাম এক সময় খালেকদুনের অধীনে সেনার চাকরি করত। আর খালেকদুনের অধীনে কেউ চাকরি করলে তাকে সে ভোলে না। মাসউদের সন্দেহ হল জায়েদ যদি বাহরামের মাধ্যমে খালেকদুনের বাড়ীতে খবর পাঠায় তাহলে সর্বনাশ হয়ে যাবে। কেঁচো খুড়তে গিয়ে সাপ বের হয়ে যাবে! একে একে সেনা গোয়েন্দা অফিসার, মাসউদ নিজে এবং শাহজাদী বিলকিস কেউ রেহাই পাবে না কারণ সম্রাট নিজেই খালেকদুনের বন্ধু। সে প্রধান কারারক্ষীর সাথে চিৎকার করে বলল “এ কী সর্বনাশ করেছেন? এবার আপনার আমার দুই জনের গলা কাটা পড়বে।”
প্রধান কারারক্ষী “কেন আমি আবার কী করেছি?”
মাসউদ “বাহরাম খালেকদুনের অনুগত। তার সাথে এক মাস জায়েদকে রেখেছেন। জায়েদ যদি বাহরামের মাধ্যমে খালেকদুনের বাড়ীতে খবর পাঠায় তখন?”
“আমি কি জানতাম বাহরাম খালেকদুনের অনুগত? এছাড়া কারাগারে তিল ধারণের ঠাঁই নেই। আমার অফিস রুমটাতেও তিন জন বন্দী রেখেছি।” ভয়ার্ত গলায় প্রধান কারারক্ষী বলল।
“আমি এখন প্রাসাদে যাচ্ছি। পবিত্র আগুণই জানে আজ কী হয়। আমি দ্রুত একটা সমাধান নিয়ে আসছি। আপনি আমি আসা পর্যন্ত কাউকে কারাগারে প্রবেশ করতে দিবেন না।”
“যদি গভর্ণর লোক পাঠায়?”
“সেটা আপনি বুঝবেন” বলে মাসউদ বাইরে গিয়ে ঘোড়া ছোটাল। অদূরে তার অনুগত রাজকীয় বাহিনীর এক সেনা ছিল। তাকে বললে “তুমি খালেকদুনের বাড়ীর সামনে ঘোরাঘোরি কর। বাহরামকে যদি দেখে ঐ বাড়ীতে যেতে কিংবা আসতে তাহলে আমাকে খবর দিও। আমি প্রাসাদে যাচ্ছি। সেখান থেকে কারাগারে ফিরব। এর মধ্যে কোথাও আমাকে পাবে।”
রাজকীয় সেনা যখন খালেকদুনের বাড়ীতে গিয়ে পৌঁছুল তখন দেখে বাহরাম সেই বাড়ী থেকে বের হয়ে আসছে। তার কিছুক্ষণ পরেই খালেকদুনের স্ত্রী ও মেয়ে বের হয়ে রাজ প্রাসাদের পথে হাঁটা দিল। এদিকে মাসউদ শাহজাদী বিলকিসের কাছে এই খবর পৌঁছনোর সাথে সাথে বিলকিস নির্দেশ দিলেন যে করেই হোক জায়েদকে কারাগার থেকে সরিয়ে অন্য কোন স্থানে নিয়ে যেতে হবে এবং তা এখনই।
“কিন্তু প্রধান কারারক্ষীর কী হবে? গভর্ণর লোক পাঠালে সে তো সব বলে দিবে” মাসউদের প্রশ্ন।
“লাশ পড়বে” শাহজাদীর মুখে মধুর হাসি। মিষ্টি হাসি দেখে মাসউদের মত খুনীর বুকও কেঁপে উঠল। এমন মিষ্টি হাসি দিয়ে কেউ খুনের আদেশ দিতে পারে? মেয়ে হয়েছে ঠিক বাপের মত। বাপও ঠান্ডা মাথায় খুনের আদেশ দেন।
মাসউদ ঝড়ের বেগে কারাগারে পৌঁছুল। তার সাথে সেনা গোয়েন্দা অফিসার। সে যে কাজ করতে এসেছে তা একা একা করা যাবে না। আরেকজনের সাহায্য লাগবে। মাসউদ ভেতরে গেল, সেনা গোয়েন্দা অফিসার কারাগার থেকে একটু দূরে একটা নিরিবিল স্থানে নিজেকে আড়ালে রাখল।
প্রধান কারারক্ষী মাসউদকে দেখে যেন শরীরে প্রাণ ফিরে পেল “আপনি এতক্ষন পরে এসেছেন? আমি তো ভয়ে অস্থির। পালানোর পরিকল্পনাও মাথায় এসেছে। এখন বলেন আমাকে কি পালাতে হবে?”
“আপনাকে পালাতে হবে না। আমি সব ব্যবস্থা করে দিচ্ছি। আপনি জায়েদকে নিয়ে ঐ গাছের নিচে দাঁড়ান। কারাগারের কেউ জানবে না যে জায়েদ নামের কেউ এখানে আছে।”
“কেউ জানবে না বললেই হল? ঐ একই কক্ষে আরো বাহরাম ছাড়া আরো দুই জন ইরানী বন্দী আছে। তাদেরকে জিজ্ঞেস করলেই তো জায়দের কথা বলে দিবে।”
“আপনি এত অস্থির হবেন না। আপনি শুধু জায়েদকে এখানে নিয়ে আসুন। বাকী কাজ আমি করছি।”
প্রধান কারারক্ষী কারাগারের ভেতরে প্রবেশ করলেন। মাসউদ কারাগারের বাইরে দাঁড়ানো রক্ষীর সামনে একটা পুটলি বের করল। পুটলিতে অনেকগুলো স্বর্ণ মুদ্রা রয়েছে। গরিব কারারক্ষী জীবনে একটি স্বর্ণ মুদ্রাও দেখেনি আর এখানে ত অনেকগুলি স্বর্ণ মুদ্রা! সে জিজ্ঞেস করল “কী করতে হবে জনাব?”
মাসউদ “এখান থেকে পালাতে হবে। মাদায়েনের কেউ যেন তোমায় না দেখে। এই ফটক তুমি এখনই খালি করে দাও।”
“ব্যাস, এটুকুই?” রক্ষী আকাশ থেকে পড়ল! এই কাজের জন্য কেউ এতগুলো স্বররণ মুদ্রা দেয়? রক্ষী একদিকে হাঁটা শুরু করল। এরকম দশটা স্বর্ণ মুদ্রা দিলেই যেকোন শহরে গিয়ে বাড়ী কিনে আরাম আয়েশে থাকা যাবে আর এখানে তো কম হলেও একশ স্বর্ণ মুদ্রা রয়েছে। সে আর চিন্তা করার সুযোগ পেল না। সে ভবিষ্যতের চিন্তায় বিভোর হয়ে গেল।
“ঐদিকে কোথায় যাচ্ছ?” মাসউদের প্রশ্ন।
“জনাব, আমার দুই স্ত্রী তিন বাচ্চা মাদায়েন শহরে থাকে……”
“তুমি কি স্বর্ণ মুদ্রা ফেরত দিতে চাও? এই মুদ্রা দিয়ে একশ রোমান সুন্দরী কিনতে পারবে! তুমি ঐ পথে যাও। আর ঐ অস্ত্রটা আমাকে দাও।”
রক্ষী এক মুহুর্ত চিন্তা করে উলটা দিকে হাঁটা শুরু করল যেই পথে সেনা গোয়েন্দা ঘাঁপটি মেরে আছে। সেই গাছের তলা পেরোতেই পেছন থেকে তার পিঠে একটি ছুরির ফলা ঢুকে সামনে বুক দিয়ে ছুরির মাথা বেরিয়ে গেল। সে দেখতেও পেল না তাকে কে খুন করেছে।
কারারক্ষী জায়েদকে পিছ মোড়া করে বেঁধে এনেছে, সাথে রয়েছে জায়েদের কামরার সামনে যে রক্ষী থাকে সে। রক্ষী মূলত পুরষ্কারের লোভে এসেছে। সে জানে এই বন্দীকে গভর্ণরের অনুমতি ছাড়া রাখা হয়েছে।
রক্ষীর হাব ভাব দেখে মাসউদ বলল “তুমি কি প্রধান কারারক্ষীর সামনে পুরষ্কার নিতে চাও? তুমি ঐ গাছের নিচে যাও, আমি আসছি।”
রক্ষী জানে প্রধান কারারক্ষী ভাল মানের পুরষ্কার পাবেন। রক্ষী ছোট কাজ করে বলে তাকে ঠকানো হবে। অবশ্য এইসব কাজে যা পায় তাতেই লাভ। সে ঐ গাছের নিচে গেল এবং তার পরিণতি আগের রক্ষীর মতই হল। দুটো লাশ পাশাপাশি পড়ে আছে। সে একটি লাশ বস্তায় ভরে ঘোড়ায় করে রওনা দিল। লাশ মাটি চাপা দিতে হবে। কেউ দেখে ফেললে ঝামেলা হবে।
“এবার বল আমাকে কী করতে হবে?” প্রধান কারারক্ষী মাসউদকে জিজ্ঞেস করল।
“আপনার শুধু মুখ বন্ধ রাখতে হবে” বলে মাসউদ তার ছুরি প্রধান কারারক্ষীর গলায় বসিয়ে দিল।
জায়েদের হাত পা চোখ বেঁধে একটা বস্তায় ভরে শহরের এক বাড়ীতে নিয়ে যাওয়া হল। একটা কক্ষে নিয়ে জায়েদের হাত পা চোখের বাঁধ খুলে দেয়া হল। অনেকক্ষণ পরে জায়েদ বুঝতে পারল এই বাড়ীতে সে আগেও কিছুক্ষণ ছিল যেদিন তাকে নদীর ওপাড় থেকে এপাড়ে নিয়ে আসা হয়। এই বাড়ী মনে হয় এই কাজেই ব্যবহৃত হয়। বাড়ীটা রাস্তার কাছেই কিন্তু এ বাড়ীতে এমন এক বৈশিষ্ট্য রয়েছে যে চিৎকার করলেও রাস্তা থেকে শব্দ শোনা যাবে না।
সেনা গোয়েন্দা এবং মাসউদ উভয়েরি শাহজাদী বিলকিসের সামনে দাঁড়িয়ে রয়েছে। এই দুই জনের একই সাথে ঘোরা ফেরা নিষেধ হলেও এই প্রথম তারা এক সাথে অপারেশন সারল এবং এক সাথেইএ শাহজাদীর সামনে এসেছে। দুই জনের একটাই প্রশ্ন “জায়েদকে এখন কী করা হবে?”
শাহজাদী এই দুই জনের আগমনের আগেই হিসাব নিকাশ করে রেখেছে। তার প্রথম পরিকল্পনা ছিল, জায়েদকে দিয়ে ভরা মজলিসে শাহজাদা সোহরাবকে হত্যা করা। সোহরাবকে হত্যার সাথে সাথে মাসউদ জায়েদকে হত্যা করবে। কিন্তু ঘটনাক্রমে সোহরাব গ্রেফতার হয়ে ভেজাল লেগে গেল। সোহরাব রাজ পরিবারের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। সে সিরিয়া যুদ্ধে বিজয়ী নায়ক। সম্রাট তাকে যদি হত্যা করতেন তাহলে কথাই ছিল না কিন্তু তাকে শুধু গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদে উদ্ধারের জন্য তার বাবা অর্থাৎ সম্রাটে ভাই অবশ্যই চেষ্টা করবেন। তাকে নিরাপরাধ প্রমানের চেষ্টা করবেন। আজ হোক কাল হোক তাকে নিরাপরাধা প্রমাণ করা কোন বিষয়ই না। এছাড়া সেনাবাহিনীতে তার ভাল জনপ্রিয়তা রয়েছে। বিশেষ করে রাজকীয় বাহিনীতে। অর্থাৎ সোহরাব বেঁচে থাকলে শাহজাদীর বেঁচে থাকা কঠিন হবে। সুতরাং সোহরাবকে শেষ করে দিতে হবে। সোহরাবকে শেষ করা সোজা কথা নয়। এখন একটাই পথ খোলা রয়েছে সেটা হল জায়েদকে ‘অফিসিয়ালি’ গ্রেফতার করা। আর জায়েদকে গ্রেফতার করার পরে তাকে বিচার না করে কারাগারে পাঠানো। এখন তো মাদায়েন শহরের গভর্ণ তার প্রিয় ভাই শাহজাদা ফররুখ। তাকে বললেই সব ব্যবস্থা হয়ে যাবে। কারাগারের অভ্যন্তরেই জায়েদ শাহজাদা সোহরাবকে হত্যা করবে। আর কারারক্ষীর হাতে খুন হবে জায়েদ। সেক্ষেত্রে কেউ সন্দেহ করবে না। একটা কারারক্ষীকে পুরষ্কার দিলে তাকে দিয়ে সব কাজ করানো যায়।
শাহজাদী বিলকিস নব নিযুক্ত মাদায়েনের গভর্ণর শাহজাদা ফররুখকে তলব করল। ওদিকে শাহজাদা ফররুখ মাদায়েনের সুন্দরী মেয়েদের তালিকা করার উদ্দেশ্যে তার এক মোসাহেবের সাথে পরামর্শ করছিল। শাহজাদীর খবর পেয়ে ফররুখের মনে হল মেহরিন নামের মেয়েটির কথা। তাইতো! মাদায়েনে এত উঁচু মানের সুন্দরী মেয়ে থাকতে আবার তালিকার কী দরকার? তার বোন নিশ্চয়ই মেহরিনের ব্যপার নিয়ে কথা বলার জন্য ডেকেছে।
শাহজাদা ফররুখ বিলকিসের সামনে বসে আছে “আমি জানি তুমি আমাকে কী কাজে ডেকেছ? মেহরিনের খবর কী? তার মাকে কি আমার প্রস্তাব দিয়েছ?”
শাহজাদী বিলকিস বুঝল মেহরিনের ব্যপারটা ফররুখ এত দিন ভুলে ছিল। আজ শাহজাদী ডাকার পরে ফররুখের মনে হয়েছে। অবশ্য তার সাথে যদি মেহরিনের বিয়েও হয় তাহলে মেহরিনের ব্যপারে তার আগ্রহ বেশি হলে মাস খানেক থাকবে। সে বলল “তোমার তো অনেক বুদ্ধি! তুমি ঠিকই ধরেছে। আমি তোমার বিয়ের ব্যপারেই ডেকেছি। আমি বিয়ের সব ব্যবস্থা করছি। তুমি আমার এক কাজ কর। এই কাজ করলে তুমি সম্রাটের কাছ থেকে বাহবা পাবে।”
সম্রাটের কাছ থেকে বাহবা পাওয়ার চাইতে মেহরিনকে পাওয়া শাহজাদার কাছে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। সে বলল “কী কাজ?”
“সেই যে আরব বন্দী যাকে খালেকদুনের লোকজন ধরে নিয়ে যাচ্ছি। পরে রাজকীয় বাহিনীর এক কমান্ডার তাকে নদীর এপাড়ে নিয়ে আসে। ছেলেটি সেই কমান্ডারকে হত্যা করে পালিয়ে যায়। পরে জানা গেছে, শাহজাদা সোহরাব এই ছেলের সাথে জড়িত। সোহরাব আসলে মুকুটের দিকে নজর দিয়েছে। পরীক্ষামূলক ভাবে সে একজন রাজকীয় সেনা অফিসারকে হত্যা করে শক্তি পরীক্ষা করতে চায়। তুমি যদি ঐ আরবকে গ্রেফতার করতে পার তাহলে তুমি ক্ষমতা গ্রহনের প্রথম দিনেই চমক দেখাতে পারবে। শাহজাদা সোহরাব ছেলেটিকে এতদিন কারাগারে লুকিয়ে রেখেছিল। খবরটা বাইরে ছড়িয়ে পড়ার আগেই সে ছেলেটিকে সরিয়ে দেয়। সে এখন মাদায়ানের একটা বাড়ীতে লুকিয়ে আছে। তাকে গ্রেফতার করে কারাগারে ঢুকিয়ে দাও। আরেকটা গুরুত্বপূর্ণ কথা, ছেলেটা কিন্তু শাহজাদা সোহরাবের লোক। সে নিশ্চয়ই মিথ্যা কথা বলবে। তার মিথ্যা কথায় প্রভাবতি হয়ে সম্রাট শাহজাদা সোহরাবের পক্ষে চলে যেতে পারেন তখন সে আমার মাদায়েনের গভর্ণরের পদ ফিরে পাবে। আর পদ ফিরে পেলে মেহরিনকে সে বিয়ে করবে। সুতরাং ছেলেটা......”
“আমি বুঝতে পেরেছি” বিলকিসের কথা থামিয়ে ফররুখ বলল “তার মানে আমার আর মেহরিনের মাঝে একমাত্র বাঁধা হচ্ছে সোহরাব আর সোহরাবের শক্তি হচ্ছে এই ছেলেটা। ঠিক আছে ছেলেটা যাতে সোহরাবের বিরুদ্ধে সাক্ষী দেয় আমি সেই ব্যবস্থা করব” ফররুখের চোখ মুখ শক্ত হয়ে গেল। শাহজাদী ভাবতে লাগলেন এই অথর্ব শাহজাদারা যদি রোমানদের বিরুদ্ধে চোখ মুখ শক্ত করে লড়াই করতেন তাহলে ইরানীদের দখলে আজ পুরো দুনিয়া থাকত।
শাহজাদী বিলকিসের দেয়া তথ্য অনুযায়ী জায়েদকে বিকালে মাদায়েনের বাড়ী থেকে গ্রেফতার করা হয়। সে এখন রাজ বন্দী। রাজকীয় বাহিনীর সদস্যরা তাকে গ্রেফতার করে কারাগারে নিয়ে যায়। সন্ধ্যায় সম্রাটে কাছে যখন এই খবর পৌঁছে তখন সম্রাট নির্দেশ দেন- “জায়েদকে রাজকীয় সেনা অফিসার ও প্রধান কারারক্ষীকে হত্যার অভিযোগে ফাঁসি দেয়া হোক” সম্রাট মূলত রাজকীয় সেনা বাহিনীকে খুশী রাখতে এই নির্দেশ দেন। এদিকে রাজকীয় সেনা বাহিনী সিদ্ধান্ত নেয় আগামীকালই মাদায়েনের চৌরাস্তায় সবার সামনে জায়েদের ফাঁসির আদেশ কার্যকর করা হবে।
জায়েদকে ফাঁসি দেয়ার আদেশ সম্বলিত সম্রাটের চিঠি যখন কারাগারে পৌঁছুল তখন আরেকটি চিঠি নিয়ে সম্রাটের কাছে এক নিঃস্ব মুসাফির মাদায়েনে এসেছেন। তিনি আগামীকাল সম্রাটের সাথে দেখা করবেন। তিনিও আরেক সম্রাটের কাছ থেকে বার্তা এনেছেন। তিনি যে সম্রাটের কাছ থেকে চিঠি এনেছেন সেই সম্রাট শুধু দুনিয়ার সম্রাটই নন। সেই সম্রাট খেজুর পাতার চাটাইয়ে বসে দেশ শাষন করেন। যে সম্রাটের কাছে ধনী গরিব ভেদাভেদ নেই। যে সম্রাটের লক্ষ লক্ষ প্রশিক্ষিত সৈন্য নেই অথচ কয়েক হাজার ঈমানদার অনুসারী রয়েছে যাদের মনোবল ও হিম্মত লক্ষ লক্ষ সৈন্যের চেয়ে কোন অংশে কম নয়।
ইরান সম্রাটে খসরু পারভেজকে উদ্দেশ্য করে ইতিহাস বিখ্যাত এই চিঠি লিখেছেন হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)।
রেসিপি দেখুন
No comments :

No comments :

Post a Comment