মরুর ফুল ১৫
শাহজাদা সোহরাবের খাস কামরা। সোহরাবের হাতে মদের গ্লাস। আরেক হাতে সুন্দরী দাসী মায়ার গলা জড়িয়ে আছে। এই দাসীকে হিন্দুস্থান থেকে আনা হয়েছে। মায়ার হাতে মদের সোরাহী (জগ)। সোহরাবের হাতের মদ শেষ হচ্ছে আর মায়া গ্লাসে ঢেলে দিচ্ছে।মায়া মায়াময় কন্ঠে বলল “বিয়ে করলে আপনি কি আমাদের কথা ভুলে যাবেন শাহজাদা?” মায়া যদিও শাহজাদা আরেকটা সুন্দরী পেলেই আগের জনকে ভুলে যায়।
শাহজাদা মাতাল কন্ঠে উত্তর দিল “বৌ বৌয়ের জায়গায় তোমরা তোমাদের জায়গায়। তোমাদের কীভাবে ভুলি?” মায়া জানে তাকে ভুলতে শাহজাদার এক মুহুর্তও লাগবে না।
শাহজাদা বলল “আমার বিয়ে তোমাকে কে বলল?”
মায়া একটু চমকে গেলেও সেটা বুঝতে দিল না “এমনি এমনি মনে হল। বিয়ের বয়স হয়েছে না?”
“ও তাই বল। আমি খালেকদুনের মেয়েকে বিয়ে করতে যাচ্ছি। মেয়ের নাম মেহরিন, অপূর্ব সুন্দর তার রূপ। ঐ তাকে মেয়েটির ছবি আছে।” বলে শাহজাদা একটা আলমারির দিকে আঙ্গুল দিয়ে ইশারা করল।
মায়া দ্রুত সেই তাক থেকে ছবিটা দেখলেন। সুন্দরী মেয়ে দেখলে আরেক সুন্দরী মেয়ের হিংসা হয়, কিন্তু মেহরিনের সৌন্দর্য হিংসা হওয়ার উর্ধে। একে দেখলে পূজো করতে ইচ্ছে হয়। এ যে সুন্দরের দেবী। এই মেয়ে আসবে শাহজাদার ঘরে? স্ত্রী হয়ে? মেয়ের কপাল খারাপ।
মায়া মোহনিয় হাসি হেসে বলল “ এ তো রূপের রাণি...........
“রাণি, ও হা রাণি শিরি আমাকে এই মেয়ের ছবি দিয়েছেন” ‘রাণি’ শব্দটা শুনে শাহজাদার রাণি শিরির কথা মনে পড়েছে। আরো কিছুক্ষ্ণ বক বক করে শাহজাদা ঘুমিয়ে পড়ল।
মায়া তার নিজের কামরায় চলে গেল। কিছুক্ষণ পরে সেই কামরায় এক কাজের মহিলা প্রবেশ করল যার কাজ ঝাড়ু দেয়া, মোছা ইত্যাদি। কাজ শেষে সেই মহিলা সেখান থেকে বেরিয়ে গেল। কিছুক্ষণ পরে শাহজাদার মহল থেকে আপাদমস্তক ঢাকা এক নারী বেরিয়ে গেল। প্রতিদিন এখানে অনেক নারী পুরুষ আসে, তাই ব্যাপারটায় কেউ গুরুত্ব দিল না।
শাহজাদী বিলকিসের খাস কামরা। তার সামনে এক দাসী দাঁড়িয়ে আছে।
দাসী বলল “রাণি শিরি শাহজাদা সোহরাবের হাতে কিসের ছবি দিয়েছে তা বের করার কথা ছিল, তা বের করেছি শাহজাদী।”
শাহজাদী বিলকিসের চোখ চক চক করতে লাগল “কী বের করেছ?”
“খালেকদুনের মেয়ের ছবি। রাণি শিরি এই মেয়ের সাথে শাহজাদার বিয়ের ব্যপারে ঘটকালি করছেন। মেয়ের নাম মেহরিন। যে দাসীটা মেয়ের ছবি দেখেছে সে বলেছে সে নাকি জীবনে এত সুন্দরী মেয়ে দেখেনি।”
“রাণি শিরি তাহলে সুন্দরী টোপ ফেলেছে? তা বিয়ে কখন হচ্ছে?”
“বিয়ের ব্যপারে কোন তথ্য নিতে পারিনি। তবে আমার মনে হচ্ছে খালেকদুন না আসা পর্যন্ত বিয়ে হওয়ার সম্ভাবনা নেই।”
শাহজাদী বিলকিস “রাণি শিরির উপর কড়া নজর রেখ, সাথে শাহজাদার প্রত্যেক গতি বিধির উপরেও। প্রয়োজনে শাহজাদা সোহরাবের সব দাসী কেনার ব্যবস্থা কর। মেহরিন সম্মন্ধে তথ্য যোগাড় কর।
এক মাস পরে জায়েদ, মেহরিন, মেহরিনের মা ও সেই একশ সেনা মাদায়েনে পৌঁছুল। নদী পার হতেই ওদেরকে জিজ্ঞাসাবাদের সম্মুখীন হতে হল। যুদ্ধের ময়দান ছেড়ে এতগুলো সৈনিক এখানে কেন এল তা জানার জন্য তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। সেনারা বলল “আমাদের সাথে খালেকদুনের স্ত্রী রয়েছে। ওনাকে পৌঁছে দেয়ার জন্যই আমরা এসেছি।”
অফিসার সেনাকে বললেন “তোমরা জান না শহরে পূর্বানুমতি ছাড়া সেনা প্রবেশ নিষিদ্ধ। এখানে শুধু রাজকীয় ফৌজই ঢুকতে পারে।”
“আমি নিজেই এক সময় রাজকীয় ফৌজে ছিলাম” উত্তর দিলেন সেনা অফিসার “আমি রাজধানীর নিয়ম কানুন সব জানি। মাদায়েনে পৌঁছে গেছি, খালেকদুনের পরিবারের এখানে যথেষ্ঠ নিরপত্তা আছে নিশ্চিত হলে আমরা চলে যেতে পারি। আপনি কি চান আমাদের গর্দান যাক?”
“আপনিও নিশ্চয় চান না আমারও গর্দান যাক। আপনারা নদীর ওপাড়েই থাকেন অথবা সেনা ছাউনিতে চলে যান। আমাদের রক্ষী খালেকদুনের পরিবারকে বাড়ী পৌঁছে দিবে।”
শাহজাদী বিলকিসের কাছে এক দাসী এসে হাজির “আপনার জন্য একটা খবর নিয়ে এসেছি। মেহরিন ও তাদের পরিবার মাদায়েন এসেছে। খালেকদুন তাদের নিরাপত্তার জন্য একশ সেনা পাঠিয়েছে। তারা ব্রীজ পার হওয়ার সাথে সাথেই আমাদের লোক তাদের দেখেছে। সেনারা শহরের নিরাপত্তার কারণে নদীর ওপাড়ে চলে গেছে। ওরা সম্ভবত আজ রাতটা সেনা ছাউনিতে অবস্থান করবে।”
বিলকিস মুচকি হাসি দিল “ওরা চলে এসেছে? ভাল খবর।”
“আরেকটা কথা শাহজাদী। খবরটা গুরুত্বপূর্ণ কি না জানি না তবুও আপনি বলেছেন আপনাকে খুটিনাটি সব খবর দেয়ার জন্য।”
“কী খবর? শাহজাদী ভ্রূ কুঁচকালেন।
“সেনাদের সাথে একজন আরব ‘ভিআইপি’ বন্দী আছে”
“ভিআইপি বন্দী? তাও আবার আরব?”
“চেহারা দেখে তাকে আরবই মনে হচ্ছে। আমাদের লোক তাদেরকে দূর থেকে দেখেছে। তাকে হাত কড়া পরানো হয় নি কিন্তু তার চারিদিকে পাহারা দেখে যে কেউ বুঝবে সে বন্দী।”
“ব্যাপারটা খতিয়ে দেখা উচিৎ” শাহজাদীর এই মুহুর্তে আগের প্রধান নগর রক্ষীর কথা মনে পড়ছে। তিনি থাকলে এতক্ষনে অনেক তথ্য জানতে পারতেন। কিছুদিন আগে তার লাশ নদীতে পাওয়া গেছে। এটাকে শাহজাদী ‘স্বাভাবিক মৃত্যু’ হিসেবে মেনে নিতে পারছে না। তার ঠিক দুই একদিন পরে যখন হাশিমিকে নগর রক্ষী প্রধান হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয় তখন শাহজাদীর এই সন্দেহ বেড়ে যায়। কারণ হাশিমির পা খোড়া। এই খোড়া পা নিয়ে কারো নগর রক্ষী প্রধান হতে পারার কথা না। এ নিশ্চয়ই রাণি শিরির কাজ। হাশিমি রাণি শিরির কাছের লোক হন। শাহজাদী দরবারে অবস্থিত এক সেনা গোয়েন্দা অফিসারকে ডাকলেন। এই গোয়েন্দা অফিসার শাহজাদা সোহরাব ও রাণি শিরিকে দেখতে পারে না।
গোয়েন্দা অফিসার শাহজাদীর কামরায় আসল “কী হুকুম তামিল করতে হবে?”
“খালেকদুনের কিছু সেনা নদীর ওপাড়ে অথবা সেনা ছাউনিতে আজ রাতে থাকবে। তারা খালেকদুনের পরিবারকে আরব থেকে এখানে নিয়ে এসেছে। ওদের মধ্যে একজন ভিআইপি বন্দী রয়েছে। তুমি খোঁজ নিয়ে জানাও এই বন্দী কে?” ছোট খাট ব্যাপারগুলো থেকে অনেক সময় বড় কিছু বের হয়ে পড়ে।
সন্ধ্যায় সেই সেনা অফিসার হাজির হল। জায়েদ সম্মন্ধে যেসব তথ্য পেলেন তা হল “জায়েদ এতদিন ছদ্মবেশে ইরান সেনার ভিতরে ঘাপটি মেরে থাকা রোমান গোয়েন্দা ছিল। খালেকদুনের স্ত্রী পরিবারকে অপহরণ করার উদ্দেশ্যে সে আরবে যায়। ইতি মধ্যে খালেকদুন জায়েদের সম্মন্ধে সব তথ্য জেনে দ্রুত গামী ১০০ সেনা পাঠায়। সেই সেনা দল জায়েদকে গ্রেফতার করে সিরিয়া যাবার পথ থেকে প্রতিকূল পরিস্থিতির কারণে ফিরে এসে ইরাক হয়ে মাদায়েন আসে। বন্দীকে সেনারা খালেকদুনের কাছে নিয়ে যাবে কারণ তাকে খালেকদুন নিজ হাতে হত্যা করবে।
“তাহলে বন্দীকে বেঁধে রাখেনি কেন? শুধু সেনা পাহারায় নিয়ে আসা হয়েছে।”
“খালেকদুনের স্ত্রীর অনুরোধে কারণ ছেলেটি নাকি ডাকাতের হাত থেকে দুইবার ওদেরকে রক্ষা করেছে। এই ছেলেটি যে রোমান গোয়েন্দা হতে পারে তা খালেকদুনের স্ত্রী বিশ্বাস করে না।”
শাহজাদী বিলকিস এবার মনে মনে হিসাব করলেন- তার চরম শত্রু রাণি শিরির গুটির চাল হল সোহরাব। সোহরাবকে ম্যানেজ করার জন্য খালেকদুনের মেয়েকে ব্যবহার করা হবে। আর খালেকদুন যাকে হত্যা করার জন্য কনস্টেন্টিপোলের
“কী সেই কাজ?”
“তুমি সেই আরব লোকটিকে মাদায়েনের কারাগারে ঢুকিয়ে দিবে।”
“কাজটা অনেক কঠিন। সে একজন গোয়েন্দা, এসব ক্ষেত্রে তাদের সরাসরি হত্যা করা হয়। তাকে কোন অভিযোগে গ্রেফতার দেখাব? আর কারাগার তো আমার অধীনে না।”
“সেটা আমি বুঝব। তুমি তাকে মাদায়েনের কারাগারে নিয়ে যাও। কারা রক্ষী তাকে চুরির অভিযোগে গ্রেফতার দেখাবে। খবরদার, কেউ যেন টের না পায় সে যে রোমান গোয়েন্দা ছিল। তাকেও বলবে, তার পরিচয় দিলে জান থাকবে না।”
গভীর রাত। খালেকদুনের পাঠানো সেই একশ সেনা নদীর ওপাড়ে তাঁবুতে ঘুমাচ্ছে। মাদায়েন থেকে দশ জনের একটা সেনা দল এল। এরা রাজকীয় সেনাবাহিনীতে চাকরি করে। এদের ক্ষমতা আসীম। এরা চাইলে যেকোন সেনা অফিসারকে আদেশ করতে পারে, অফিসার সে আদেশ মানতে বাধ্য। তাদের মধ্যে একজন এগিয়ে সেনা অফিসারের তাঁবুর সামনে দাঁড়াল, বাকী নয় জন একটু দূরে অপেক্ষা করছে। বাইরে দাঁড়ানো রক্ষী তাদের দেখেই ভিতরে গিয়ে অফিসারকে জাগিয়ে দিল। রাজকীয় সেনার পোষাক দেখেই অফিসারের গলা শুকিয়ে গেল, কারণ এরা খুবই খারাপ। এদের অভিযোগের ফলে অনেকের চাকরি চলে গিয়েছে। কোন মতে যদি রিপোর্ট করে অমুক সেনা অফিসার রোমানদের সাথে চক্রান্তে জড়িত তাহলে তো কথাই নেই, ঐ অফিসারের গর্দান চলে যায়। এরা অনেক সময় জিম্মি করে টাকা পয়সা নেয়।
রাজকীয় সেনা দলের অফিসার গোছের এক ব্যক্তি সেনা অফিসারকে বলল “শুনেছি তোমাদের কাছে এক আরব বন্দী রয়েছে। যার বিরুদ্ধে রোমানদের পক্ষে গোয়েন্দাগিরীর অভিযোগ রয়েছে।”
“জ্বী, কথা সত্যি” সেনা অফিসার শুকনো মুখে বলল। বিকালে যে সেনা গোয়েন্দা অফিসার এসেছিলেন তিনিই নিশ্চয় রিপোর্ট করেছেন। তা নাহলে এসব তথ্য ওদের কারো জানার কথা নয়।
“ওকে আমাদের হাতে তুলে দাও। আমরা তাকে ফাঁসি দিব। তাকে খালেকদুনের কাছে নেয়ার প্রয়োজন নেই। বেঈমানের একমাত্র শাস্তি মৃত্যু দন্ড।”
কিছুক্ষন পরে রাজকীয় সেনাবাহিনীর দলটি জায়েদকে নিয়ে মাদায়েনে প্রবেশ করল। তাঁবু থেকে বের করার পরে রাজকীয় সেনা অফিসারের কথা অনুযায়ী জায়েদের হাত ও মুখ বেঁধে ফেলা হয়েছিল। সেই অফিসার ছাড়া তার দলের বাকী নয় জনের কেউ জানল না তাদের সাথে যে আসামী যাচ্ছে তার বিরুদ্ধে কী অভিযোগ রয়েছে। অবশ্য তাদের জানার দরকার নেই। এই কাজের জন্য তাদেরকে ভাল পারিশ্রমিক দেয়া হয়েছে। তাদেরকে অবশ্য মুখ বন্ধ রাখার বিনিময়ে পারিশ্রমিক দেয়া হয়েছে। সেনারাও বুঝল এই কাজ তাদের অফিসিয়াল কাজের বাইরের কাজ। নইলে তাদেরকে এনাম দেয়া হবে কেন? আর কেনই বা তাদের মুখ বন্ধ রাখার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
মাদায়েনের ভিতরে কিছুক্ষন চলার পরে নয় জন রাজকীয় সেনা আরেক দিকে চলে গেল। অফিসার জায়েদকে একটা বাড়ীতে ঢুকিয়ে দিয়ে বাইরে থেকে তালা মেরে দিল।
এই ঘরটা অন্ধকার। অনেক ক্ষন পরে বাইরে একটা শব্দ হল। দরজা খোলার শব্দ হল। অনেক ক্ষন ধরে অন্ধকারে থাকার কারণে জায়েদ দরজা খোলার পরেও ভাল করে কিছু দেখছে না। এক ব্যাক্তি জায়েদের মুখের বাঁধন খুলে দিল। আশেপাশে আর কেউ নেই।
“মাদায়েনে স্বাগতম” সামনে থাকা লোকটা নাটকীয়তা করলেন। লোকটি জায়েদের হাতের বাঁধন খুলে দিতে দিতে বললেন “তোমাকে নিশ্চিত মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচিয়ে আনা হয়েছে। তোমার উচিৎ তার প্রতিদান দেয়া।”
জায়েদের বেঁচে থাকার কোন ইচ্ছাই নেই। মেহরিনের কাছ থেকে ঐ কথা গুলো শোনার পর থেকেই তার বাঁচার প্রতি আগ্রহ কমে গেছে। কিন্তু জায়েদের মনে হল এই লোকের সাথে কোন না কোন ভাবে মেহরিনদের পরিবারের বিপদ জড়িয়ে আছে। সে জিজ্ঞেস করল “কীভাবে প্রতিদান দিব?”
“মিথ্যা কথা বলে। তোমাকে এক আমীরের বাড়ীতে চুরির অভিযোগে গ্রেফতার দেখাব। খবরদার তুমি কাউকে কিছু বলতে পারবে না। কিছুদিনের মধ্যে তোমাকে মুক্ত করা হবে।”
“নিশ্চয়ই মিথ্যা কথা বলার জন্য আমাকে সেনাদল থেকে ছাড়িয়ে আনা হয়নি?” জায়েদের মুখে প্রশ্ন বোধক চিহ্ন।
“সে তো অবশ্যই না। আমাদের অবশ্যই কিছু স্বার্থ রয়েছে। আপাতত মুখ বন্ধ রাখবে। জেলের বেশিরভাগ প্রহরী আমার পরিচিত। উলটা পাল্ট কথা বলবে তো কেউ আমার নির্দেশের অপেক্ষা করবে না, তোমাকে মেরে ফেলা হবে।” জায়েদ বুঝল তার কেমন মুক্তি হয়েছে। এক কারাগার থেকে আরেক কারাগার!
জায়েদকে নিয়ে সেনা গোয়েন্দা অফিসার কারাগারে গেল। কারাগারের বাইরে কারা প্রধান তাদের জন্যই অপেক্ষা করছিল “আপনাদের দেরি দেখে দুঃশ্চিন্তায় পড়ে গিয়েছিলাম।”
গোয়েন্দা কারা রক্ষীর কথার উত্তর না দিয়ে বলল “এই হল সেই রোমান গোয়েন্দা। আজ থেকে সে ইরানের এক আমীরের বাড়ীতে চুরির অভিযোগে বন্দী থাকবে। তার আসল পরিচয় ফাঁস করে দিলে সাথে সাথে শরীর থেকে মাথা বিচ্ছিন্ন করে দিবেন। পরবর্তী নির্দেশ না পাওয়া পর্যন্ত তাকে এখানেই রাখবেন।” জায়েদ ভাবল “এ কোন মুসিবতে পড়েছি?”