মরুর ফুল ৩৭
মুতার যুদ্ধ সাত দিন ব্যাপী স্থায়ী হয়েছিল। যুদ্ধ শেষে জায়েদদের ইরানী কাফেলা আরো তিন দিন অপেক্ষা করেছিল মুসলমানরা আবার হামলা করে কি না তা নিশ্চিত হবার জন্য। চতুর্থ দিনের মাথায় পরিস্থিতির দিকে কঠোর নজর রেখে সেই কাফেলা সাবধান হয়ে সামনে এগোতে শুরু করল।জেরুজালেমের যখন পৌঁছুল তখন সেখানে ধ্বংস স্তুপ ছাড়া আর কিছুই দেখল না। মাত্র কয়েক বছর আগে এই শহরটা কত সুন্দর শহর ছিল অথচ যুদ্ধে বিগ্রহের ফলে মনে হয় এখানে কোন শহর ছিল না। শহরের একটা আধা ভাঙ্গা বাড়ীতে রোমান সম্রাট তার অস্থায়ী কার্যালয় বানিয়েছেন। ইরানী সেনারা যখন টের পেল তাদের পরাজয় নিশ্চিত তখন তারা এ শহর ধ্বংস করে দিল। খ্রিস্টান ও ইহুদীদের পবিত্র উপাসনালয় বায়তুল মুকাদ্দাস ধ্বংস স্তুপে পরিণত করে দিল। রোমান সম্রাট নিজ তদারকিতে পুণরায় বায়তুল মুকাদ্দাস নির্মাণ কাজ শুরু হল। সম্রাট জানেন যুদ্ধে বিজয়ের পরে খ্রিস্টানদের খুশী করতে না পারলে ওনার ক্ষমতা বেশি দিন টিকবে না। বায়তুল মুকাদ্দাসেই ছিল যীশুকে বিদ্ধ কারী সেই ক্রুশ যা ইরানীরা নিয়ে গিয়েছিল। ইরানীদের পক্ষ থেকে জায়েদ সেই ক্রুশ বয়ে নিয়ে এসেছে। ইরান সম্রাট শেরওয়া ক্রুশটা জায়েদের হাতে দিলেন এই কারণে যে জায়েদ খ্রিস্টান। যদিও সে ধর্ম কর্ম পালন করে না এবং খ্রিস্টান ধর্মের প্রতি তার কোন আগ্রহ নেই। নামে হোক একজন খ্রিস্টানের হাতে করে ইরানের রাজধানী থেকে ক্রুশ বহন করে নিয়ে এসেছে এটাই বা কম কীসের!
জেরুজালেমে এক আনন্দ ঘন পরিবেশের সৃষ্টি হল। খালেকদুন অনেক দিন পরে তার স্ত্রী কণ্যাকে দেখতে পেল। রোমান খ্রিস্টানরা তাদের পবিত্র ক্রুশ ফিরে ফেল। তারা সম্রাটকে অভিনন্দন জানাল। ইরান সম্রাট রোমান সম্রাটকে অনেক মূল্যবান উপহার দিলেন। জায়েদ এত সব দামী উপহার দেখে অবাক হল। জায়েদ যা ভেবেছিল তা না। সে ভেবেছিল জেরুজালেমে পৌঁছার দুই তিন দিনের মাথায় সবার ব্যস্ততা কমে যাবে। এরপরে সবাই জায়েদ-মেহরিনের বিষয়টা নিয়ে মাথা ঘামাবে কিন্তু এখানে এসে দেখে ঘটনা সম্পূর্ণ ভিন্ন। ক্রুশ ফেরত নেয়ার জন্যই এক বিশাল অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হল। জায়েদ ক্রুশ বহন করে নিয়ে এসেছে ঠিকই কিন্তু সম্রাটের হাতে ইরানের পক্ষ থেকে ক্রশ তুলে দিলেন ইরান সেনাপতি, সাথে ছিলেন দুই মন্ত্রী যারা চুক্তি সম্পাদন করতে এসেছিলেন। দুই পক্ষের মধ্যে চুক্তি হল। চুক্তির শর্ত অনুযায়ী ইরানীরা তাদের দখলকৃত এলাকা যেমন মিশর ও পশ্চিম এশিয়ার বিভিন্ন শহর রোমানদের ফেরত দিবে অপর দিকে রোমানরা অগ্নি পূজারীদের পবিত্র শহর আরমিয়া, সাবেক রাজধানী দস্তরগিদ সহ অন্যান্য শহর ফেরত দিবে। উভয় পক্ষের লোকজন আরেক দেশে যাতায়াত করতে পারবে, ব্যবসা করতে পারবে। কেউ বাঁধা দিবে না। চুক্তি সম্পাদন করতে করতেই সাত দিন লেগে গেল। এ কয়দিন খালেকদুন এত ব্যস্ত ছিলেন যে নিজের স্ত্রী কণ্যাকে সময় দিতে পারলেন না। এর মধ্যে তিনি ইরান সম্রাটের চিঠি পড়ে দেখলেন যাতে জায়েদ সম্মন্ধে লেখা আছে। সাত দিন পরে তিনি স্ত্রীর সাথে জায়েদের বিষয়ে কথা বললেন।
“তোমরা এই চাল চুলাহীন ছেলের প্রতি আগ্রহী হলে কেন?” খালেকদুনের স্ত্রীর বুঝতে সমস্যা হল না যে খালেকদুন জায়েদ সম্মন্ধে এই কথা বলছে।
খালেকদুনের স্ত্রী জানতেন খালেকদুন জায়েদকে সহজে মেনে নেবে না। মানার কথাও নয়। পৃথিবীর প্রথম সারির রাষ্ট্রের সেনাপতি কখনো তার মেয়েকে এক অসহায় বেদুঈনের সাথে বিয়ে দিতে চাইবেন না। তবুও তিনি স্বামীকে বোঝানোর চেষ্টা করলেন “জায়েদ এই পর্যন্ত তিন বার আমার মেয়ের জীবন বাঁচিয়েছে। আমাকেও দুই বার বাঁচিয়েছে......
“তাই বলে বিয়ে? গরিব মানুষ, কিছু দান করে দাও। দেখবে লাফিয়ে লাফিয়ে খুশি হয়ে আরবে চলে যাবে।” খালেকদুনের কথায় আত্ম বিশ্বাস।
“কিন্তু জায়েদ সে ধরনের ছেলে নয়। শেরওয়া তাকে উঁচু পদের চাকরি দিতে চেয়েছিলেন। জায়েদ সেই চাকরিও নিতে চায় নি। আমার ধারনা জায়েদ যদি উচ্চ পদের কোন চাকরি করত তাহলে আজ তার সম্মন্ধে এই কথা বলতেন না।”
“ব্যাপারটা তা না” খালেকদুন যুক্তি দেখাচ্ছে “জায়েদ আসলেই অনেক চালাক ছেলে। সে টের পেয়ে গেছে ইরান সম্রাটের মতি গতি ভাল না। তাই সে মাদায়েন ছেড়ে পালিয়েছে।”
খালেকদুনের স্ত্রী অবাক হলেন “আমার কাছে তো সেই রকম কিছুই মনে হয় নি। শেরওয়াকে তো অনেক ভাল মনে হল।”
“আমি ইরান সম্রাটের পুরো পরিবারকে গত পঞ্চাশ বছর ধরে চিনি। এদের কাউকে বিশ্বাস করা উচিৎ না। তুমি এক কাজ কর, জায়েদকে কোন কিছু দিয়ে বিদায় করে দাও। এটাই ওর জন্য ভাল হবে।”
খালেকদুনের স্ত্রী আশাহত হলেন। তিনি শেষ চেষ্টা করলেন “মেহরিন তো জায়েদ ছাড়া কিছুই বোঝে না।”
“এ বয়সে ছেলে মেয়েরা এমনই করে থাকে। দুই দিন যখন জায়েদকে দেখবে না তখন সব ঠিক হয়ে যাবে।”
“আমার মনে হয় না। আপনি যেমন সম্রাটের পরিবারকে ভাল করে চিনেন ঠিক তেমনি আমার মেয়েকে আমি ভাল করেই চিনি। সে জায়েদ ছাড়া আর কোন ছেলেকে বিয়েই করবে না।” খালেকদুনের স্ত্রী জবাব।
“আসলে একটা কথা তোমাকে বলতে চাইনি। সরকারী গোপন কথা সবাইকে বলা যায় না। জায়েদ যেহেতু তোমাদের জীবন বাঁচিয়েছে তাই তোমাকে বলছি- নতুন ইরান সম্রাট জায়েদের মাথা কেটে ফেলার হুকুম দিয়েছেন।”
কথাটা খালেকদুনের স্ত্রীর কাছে অবাক করা হলেও অবিশ্বাস্য মনে হল না। কারণ ইরান সম্রাটদের স্বভাব চরিত্র এমনই। অনেকক্ষন কারো মুখ থেকে কোন কথা বের হল না।
খালেকদুনের স্ত্রী মুখ খুললেন “তুমি কী সিদ্ধান্ত নিয়েছ? জায়েদকে মেরে ফেলবে?”
খালেকদুন স্ত্রীর মনের কথা টের পেয়েছেন। তিনি বললেন “উপকারির অপকার করা ঠিক না। জায়েদকে বরং বুঝিয়ে শুনিয়ে এখান থেকে বের করে দাও। আমি সম্রাটকে শোনাব জায়েদ এখান থেকে পালিয়ে গেছে। রোমান সম্রাজ্যে কেউ পালিয়ে গেলে আমার আর কোন দায়িত্ব থাকবে না। আমার কাছে অনেক স্বর্ণ মুদ্রা রয়েছে। তা থেকে জায়েদকে কিছুটা দিয়ে দাও।”
খালেকদুন ও তার স্ত্রী যখন এসব কথা বলছিলেন দরজার আড়ালে দাঁড়িয়ে মেহরিন তখন সব কথা শুনছিল। মেহরিন সিদ্ধান্ত নিল আগামীকাল সকালেই জায়েদের সাথে সে পরামর্শ করবে- কীভাবে এখান থেকে দু’জনে পালিয়ে যেতে পারে।
---
মুতার যুদ্ধে রোমান সৈন্যদের সাথে আরবদের বিভিন্ন গোত্রের সহযোগিতামূলক ভূমিকার কথা জেনে রসুলূল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এমন একটি পদক্ষেপ গ্রহণ জরুরী মনে করেন যাতে, রোমান ও আরবদের গোত্রগুলো মুসলমানদের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের হাত প্রসারিত করে এবং ভবিষ্যতেও মূসলমানদের বিরুদ্ধে কোন প্রকার সৈন্য সমাবেশের চিন্তা না করে।
রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এ উদ্দেশ্যে হযরত আমর ইবনু আস (রা.)-কে মনোনীত করেন। তাঁর দাদী ছিলেন বালা গোত্রের মহিলা। মুতার যুদ্ধেরর পর অষ্টম হিজরীর জমাদিউস সানিতে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হযরত আমর ইবনু আস (রা.)-কে প্রেরণ করেন। বলা হয়ে থাকে যে, গুপ্তচরদের মাধ্যমে খবর পাওয়া গেছে যে, বনু কাজাআ গোত্র হামলা করতে মদীনার উপকন্ঠে বহু সৈন্য প্রস্তুত করেছে। এসব কারনে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমর ইবনুল আস (রা.)-কে প্রেরণ করেন।
রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নির্দেশ দিয়েছিলেন যে, মুসলিম সেনাদল বলি, আজরা এবং বলকিন এলাকার লোকদের কাছে দিয়ে যাওয়ার সময় তাদের কাছে যেন সাহয্য চান। মুসলিম সেনাদল রাত্রিকালে সফর করতেন এবং দিনের বেলা লুকিয়ে থাকতেন। শত্রুদের কাছাকাছি পৌঁছার পর জানা গেলো যে, শত্রুরা দল ভারি। হযরত আমর তখন রাফে ইবনে মাকিছ জাহনিকে সাহায্যের চিঠিসহ রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কাছে প্রেরণ করেন। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম দুইশত সৈন্য হযরত আবু ওবাইদা ইবনুল জাররাহ (রা.)-এর নেতৃত্বে প্রেরণ করেন। এদের মধ্যে হযরত আবু বকর, হযরত ওমর সহ আনসার ও মোহাজেরদরে বিশিষ্ট নেতৃবৃন্দও ছিলেন। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সেনাপতি আবু ওবায়দা (রা.)-কে নির্দেশ দেন, তিনি যেন আমর ইবনুল আস এর সাথে মিলিত হয়ে উভয়ে মিলেমিশে কাজ করেন। কোন প্রকার মতানৈক্য যেন না করেন। আবু ওবায়দা অকূস্থলে যাওয়ার পর পুরো বাহিনীর অধিনায়কত্ব চান। কিন্তু হযরত আমর ইবনুল আস বললেন, অধিনায়ক তো আমি, আপনিতো সহায়ক সৈন্য নিয়ে এসেছেন। আবু ওবায়দা একথা মেনে নেন। এরপর নামাযের ইমামতিও সেনাদল প্রধান হযরত আমর ইবনুল আসই করতে থাকেন।
সহায়ক সেনাদল পৌঁছার পর কাজাআ এলাকায় পৌঁছেন এবং সেখান থেকে দূরবর্তী স্থানে যান। একপর্যায়ে শত্রুদের সাথে মোকাবেলা হওয়ার উপক্রম হয়। কিন্তু মুসলমানদের হামলার উদ্যেগের মুখে তারা দ্রুত পালিয়ে যায়।
এরপর আওফ ইবনে মালেক আশজায়ীকে দূত হিসেবে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কাছে প্রেরণ করা হয়। তিনি মুসলমানদের নিরাপদ প্রত্যাবর্তন এবং অভিযানের বিবরণ রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে শোনান।
যাতে-ছালছেল ওয়দিউল কোরা প্রন্তরের সামনের একটি জায়গা। এটি মদীনা থেকে ১০ দিনের দূরত্বে অবস্থিত। মুসলমানরা জাজাম গোত্রের ছালাছেল নামের একটি জলাশয়ের পাশে অবতরণ করেন। তাই এ অভিযানের নাম করা হয় যাতে-ছালাছেল।
অষ্টম হিজরীর শাবান মাসে নজদের অভ্যন্তরে মুহরিব গোত্রের এলাকার খাজরাহ নামের জায়গায় বনু গাতফান গোত্র সৈন্য সমাবেশ করছিলো। এদের দমন করতে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পনের জন সাহাবীকে হযরত আবু ওবায়দার নেতৃত্বে প্রেরণ করেন। এই সেনাদল শত্রুদের কয়েকজনকে হত্যা, কয়েকজনকে বন্দী এবং গনীমতের মাল লাভ করেন। এই অভিযানে প্রেরিত সেনাদল হযরত আবু ওবায়দার নেতৃত্বে পনের দিন মদীনার বাইরে অবস্থান করেন।
---
পরদিন সকালে লোক মারফত মেহরিন জায়েদকে তার সাথে দ্রুত দেখা করার জন্য ডাকল কিন্তু বিকাল অব্দি জায়েদের কোন সাড়া নেই। জায়েদ তাদের বাসায় পরদিন এল। জায়েদের চেহারায় আনন্দ উল্লাস খেলা করছে। মেহরিন কিছু জিজ্ঞাসা করার আগেই জায়েদ নিজেই বলল “আমার জন্য একটা খুশীর খবর আছে। অনেক বছর পর আমি আমার বোনের খবর পেয়েছি!”
“আপনার বোন? মানে সেই রুকাইয়া? তার স্বামীর নাম ইউসুফ?”
“জ্বী, তোমার দেখি সবই মনে আছে।”
“তো কার কাছ থেকে ওনাদের খবর পেলেন? ওনারা এখন কোথায় আছেন?”
“তোমাকে বলেছিলাম আমি রোমান সেনাবাহিনীর গোয়েন্দার চাকরি নিয়েছিলাম যে পাদ্রীর মাধ্যমে সেই পাদ্রী ম্যাথিউস আমার বোন ও তার স্বামীর দেখা পেয়েছিলেন। তারা সিরিয়ার এক শহরে থাকে। কিন্তু সেই পাদ্রী এখন রোমান সম্রাজ্যের রাজধানী কনস্টেন্টিপোলে থাকেন। তিনি সম্ভবত এখন সহকারী পোপ। আমাকে যিনি এই খবর দিয়েছেন তিনি জেরুজালেমের বায়তুল মুকাদ্দাসের একজন পাদ্রী। আমি গতকাল এক গীর্জায় গিয়েছিলাম। সেখানে গিয়ে দেখা হল আমার সাথে মাদায়েনের কারাগারে থাকা আরেক পাদ্রীর সাথে। ঐ পাদ্রী মুক্তি পেয়েই এখানে চলে আসেন। পাদ্রী আমার সব ইতিহাস জানেন। তিনি আমাকে অন্য পাদ্রীদের সাথে পরিচয় করিয়ে দিলেন। এদের মধ্যে এক পাদ্রী আমার নাম শুনেই বললেন- পাদ্রী ম্যথিউস নামের এক সিনিয়ার পাদ্রী আমার খোঁজ করছেন। তিনি আমার বোন-ভগ্নিপতির খবর জানেন। তবে যিনি খবরটা দিয়েছেন তিনি এর বেশি কিছু বলতে পারেন নাই। বিস্তারিত জানার জন্য আমাকে কনস্টেন্টিপোল যেতে হবে।”
“আপনি ভাল সময়ে ভাল খবর পেয়েছেন। আমিও আপনার সাথে কন্সটেন্টিপোল যাব।”
“তুমি কী বলছ? আমি খুব দ্রুত সেখানে যাব আর আসব। আমার বেশিদিন সময় লাগবে না।”
“কিন্তু আমাকে তো আপনার সাথে যেতেই হবে।” মেহরিন রেগে বলল।
মেহরিনের রাগ দেখে জায়েদের ভ্রু কুঁচকাল “ব্যপার কী? কোন ঘটনা ঘটেছে?”
মেহরিন জায়েদের সাথে অনেকক্ষণ কথা বলল। তারা দুই জনই যুক্তি তর্ক করে একটা সিদ্ধান্তে পৌঁছুল-আগামীকাল
Subscribe to:
Post Comments
(
Atom
)
No comments :
Post a Comment