মরুর ফুল ১৮
মেহরিনের বিয়ে হবে এটা খুব স্বাভাবিক কারণ তাকে মাদায়েনে আনা হয়েছেই বিয়ের উদ্দেশ্যে। কার সাথে মেহরিনের বিয়ের কথা বার্তা হচ্ছিল সেটাও জায়েদ জানে কিন্তু মেহরিনের যে বিয়ে হয়ে গেছে এটা তার জানা ছিল না। এই মাত্র দূত যখন বলল “খালেকদুনের মেয়ে মেহরিন” তখনই শুনল। বামন হয়ে যেমন চাঁদ ছোঁয়া যায় না ঠিক তেমনি জায়েদ মেহরিনকে কখনো ছুঁতে পারবে না। তবুও জায়েদের মনে ক্ষুদ্র একটা আশা ছিল। মেহরিন যদি কখনো জায়েদের প্রতি সুদৃষ্টি দেয়। কিন্তু সুদৃষ্টি দিয়েই বা কী লাভ? জায়েদের চাল চুলো নেই, ঠিকানা নেই, সে কী করে রাজকণ্যার দিকে হাত বাড়ায়। সৈনিক জীবনে সে অসংখ্য বার কঠিন পরিস্থিতিতে পড়েছিল। সেসব পরিস্থিতিতে কখনো কখনো মনে হয়েছিল এই বুঝি জানটা যাবে। আজ জায়েদের মনে হয়েছে জানটা মনে হয় চলেই গেছে।কোন মতে সে মাসউদকে জিজ্ঞেস করল “মেহরিনের বিয়ে হয়ে গেছে?”
মাসউদের ভ্রূ সামান্য একটু কূঁচকাল “যখন তুমি তাকে হত্যা করবে তখন তার বিয়ে হয়ে যাবে। এখনো বিয়ে হয় নি। এখন বল তুমি কি আমার প্রস্তাবে রাজী? আমার সময় নেই। এখন চলে যাব।”
“আমি রাজী”
“আমি তোমাকে যেকোন দিন নিতে আসব।” মাসউদ চলে গেল।
---
কিসরার প্রাসাদ। সন্ধ্যায় প্রহরীকে ফাঁকি দিয়ে নিজের কামরা থেকে শাহজাদী বিলকিস বের হল। একটু দূরে সম্রাটের হেরেম। সেখানে কোন পুরুরষের ঢোকা নিষেধ। সারা দুনিয়া থেকে বাছাই করা সুন্দরী নারীদের এখানে আনা হয়। এর মধ্যে সবচেয়ে সুন্দরী দাসী সাবাহ এর কামরায় শাহজাদী বিলকিস প্রবেশ করল।
শাহজাদীকে অসময়ে এখানে দেখে সাবাহ অবাক হল “শাহজাদী আপনি এখানে? আমাকে ডাকলেই তো পারতেন!” শাহজাদীকে কোথায় বসতে দিবে ভেবে সে চারিদিকে তাকাল কিন্তু তাকে বসানোর মত সে রকম চেয়ার এই রুমে নেই।
শাহজাদী সাবাহ এর মনের কথা বুঝতে পেরে বলল “আমার বসার সময় নেই। আমি তোমার সাথে কথা বলতে এসেছি। তাতে তোমার উপকার হবে দেশেরও উপকার হবে। কিসরা সম্রাটের উপকারও হবে।”
“কিসরা সম্রাটের জন্য আমি আমার জীবন দিতেও পারব” দাসীর এই বাক্যটা শাহজাদী মোটেও বিশ্বাস করল না। এই দাসীদের হাতে এর আগে অনেক রাজা বাদশাহ প্রাণ দিয়েছেন।
“আজ রাতে তো তুমি বাদশাহর সাথে থাকবে। তুমি বাদশাহকে জানাবে খালেকদুনের পরিবার এখন মাদায়েনে। তারা মাদায়েনে হঠাত করে কেন এল তা নিয়ে সম্রাটের মনে সন্দেহের সৃষ্টি করবে। পারবে কি না বল?” শাহজাদী পাঁচটা স্বর্ণ মুদ্রা বের করল।
দাসী স্বর্ণ মুদ্রার দিকে তাকিয়ে বলল “এটা অনেক কঠিন কাজ। খালেকদুন সম্রাটের ছেলেবেলার বন্ধু। তার সম্মন্ধে কোন খারাপ কথা তিনি শুনতে চাইবেন না। আমাকে যদি সন্দেহ করে তাহলে আমার মাথা কাটা পড়বে।”
শাহজাদী আরো পাঁচটা স্বর্ণ মুদ্রা বের করে দাসীর দিকে বাড়াল। দাসী সেগুলো হাতে নিয়ে বলল “আপনার জন্য জীবন দিয়ে দিতে পারি। আর এটা কোন কাজ হল?” শাহজাদী মুচকি হাসি হাসলেন।
---
ষষ্ঠ হিজরিতে মুসলমানরা নিত্য নতুন অভিযান করে আরব বিশ্বের দৃষ্টি তাদের দিকে আনতে সমর্থ হয়। জায়েদ যখন শাহজাদা সোহরাবকে হত্যার জন্য অপেক্ষা করছি তখন আরবে ঘটে গেল এক জঘন্য ঘটনা।
বনু লেইয়ান গোত্রের লোকেরা রাজিঈ নামক জায়গায় দশজন সাহাবাকে ধোঁকা দিয়ে নিয়ে আটজনকে হত্যা এবং দুইজনকে মক্কাবাসীদের হাতে বিক্রি ছিলো। সেখানে তারা সেই দুইজনকে নির্মমভাবে হত্যা করে। কিন্তু বনু লেহইয়ানদের এলাকা যেহেতু মক্কার কাছাকাছি, অথচ কোরাইশ ও মুসলমানদের সাথে চরম বিরোধ চলছিলো। তাই রসূল (সাঃ) শত্রুদের অতো কাছাকাছি যাওয়া সমীচীন মনে করছিলেন না। ইতিমধ্যে কোরায়ইদের বিভিন্ন দলের মধ্যে ফাটল ধরেছে, মুসলমানদের বিরোধিতার ক্ষেত্রে তাদের সঙ্কল্পের জোর অনেকটা কমে গেছে এবং পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতও তারা মেনে নিয়েছে। এ কারণে রাসূল (সাঃ) মনে করলেন যে, বনু লেহইয়ানের কাছ থেকে রাজিঈ-এর শহীদদের হত্যার প্রতেোধ গ্রহণের সময় এসেছে। ষষ্ঠ হিজরীর রবিউল আউয়াল অথবা জমাদিউল আউয়াল মাসে রসূল (সাঃ) দুইশত সাহাবাসহ বনু লেহইয়ান গোত্র অভিমুখে রওয়ানা হলেন। রাসূল (সাঃ) মদীনায় হযরত আবদুল্লাহ ইবনে উম্মে মাকতুমকে তাঁর স্থলাভিষিক্ত করে। অন্যদের বলা হলো, তিনি সিরিয়া যাবেন। রসূল প্রথমে উমায এবং উসফান স্থলদ্বয়ের মধ্যখানে অবস্থিত বাতনে গাররান নামক উপত্যকায় পৌঁছেন। সাহাবাদের সেখানেই হত্যা করা হয়। রসূল সেখানে সাহাবাদের জন্যে আল্লাহর দরবারে দোয়া করেন। এদিকে বনু লেহইয়ান গোত্রের লোকেরা রাসূল (সাঃ) এর আগমনের খবর শুনে পাহাড়ী এলাকায় পালিয়ে গেলো। তাই তাদের কাউকেই আটক করা সম্ভব হলো না। রাসূল (সাঃ) সেখানে দুইদিন অবস্থান করেন। বিভিন্ন এলাকায় খন্ড খন্ড দলে বিভক্ত করে সাহাবাদের প্রেরণ করেন। কিন্তু কারো হদিস পাওয়া যায়নিফ পরে রাসূল (সাঃ) উসফান নামক জায়গায় গিয়ে সেখান থেকে দশজন ঘোড় সওয়ার সাহাবাকে কোরাউল গামীম নামক জায়গায় প্রেরণ করেন। কোরাইশদের তাঁর আগমন সংবাদ জানাতেই তাদের প্রেরণ করা হয়। মোট চৌদ্দদিন বাইরে অবস্থঅনের পর রাসূল (সাঃ) মদীনায় ফিরে আসেন।
এ অভিযান থেকে ফিরে এসে রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পর্যায়ক্রমের কয়েকটি সামরিক অভিযান প্রেরণ করেন।
ষষ্ঠ হিজরীর রবিউল আউয়াল বা রবিউস সানিতে রাসূল (সাঃ) চল্লিশজন সাহাবাকে গামর নামক জায়গায় এক অভিযানে প্রেরণ করেন। গামার বনু আছাদ গোত্রের একটি জলাশয়ের নাম। হযরত মুহম্মদ বিন মাসলামা (রা) এর নেতৃত্ব দেন। মুসলমানদের আগমনের খবর পেয়ে শত্রুরা পালিয়ে যায়। মুসলমানরা তাদের দুইশত উট মদীনায় নিয়ে আসে।
ষষ্ঠ হিজরীর রবিউল আউয়াল বা রবিউস সানিতে মোহাম্মদ ইবনে মোসলামার নেতৃত্বে দশজন সাহাবার একটি সেনাদল যুল কেস্সা নামক স্থান অভিমুখে রওয়ানা হন। এই স্থান বনু ছালাবা গোত্রের বসতি এলাকায় অবস্থিত। শত্রুদের সংখ্যা ছিলো একশত। তারা পালিয়ে গিয়ে আত্মগোপন করে। সাহাবায়ে কেরাম ঘুমিয়ে পড়লে শত্রুরা আকস্মিক হামলা করে তাদের নয় জনকে হত্যা করে। একমাত্র দল নেতা মোহাম্মদ ইবনে মোসলমা বেঁচে যান। তিনি আহত অবস্থায় মদীনায় ফিরে আসেন।
মোহাম্মদ ইবনে মোসলমার (রা) নেতৃত্বে প্রেরিত সেনাদলের শাহাদাদের পর ষষ্ঠ হিজরীর রবিউস সানিতে রাসূল (সাঃ) হযরত আবু ওবায়দা (রা)-কে সেনাপতির দায়িত্ব দিয়ে একদল সাহাবাকে যুল কেস্সায় প্রেরণ করেন। চল্লিশ জন সাহাবার এই সেনাদল পূর্বোক্ত নয় জন সাহাবার শাহাদাতের জায়গা অভিমুখে রওয়ানা হন। সারারাত পায়ে হেঁটে তাঁরা যুল কেস্সায় পৌঁছেন। সেখানে যাওয়ার পরই শত্রুদের খুঁজতে শুরু করেন। বনু ছালাবা গোত্রের এই শত্রু দল খুব দ্রুত পাহাড়ী এলাকায় পালিয়ে যায়। মুসলমানরা কিছুতেই তাদের হদিস করতে পারেননি। শুধুমাত্র একজন লোককে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়। সেও ইসলাম গ্রহণ করে। এ অভিযানে বেশ কিছু বকরিসহ পশুপাল মুসলমানদের অধিকারে আসে।
এর পরে সামরিক অভিযানে হযরত যায়েদ ইবন হারেছা (রা)-এর নেতৃত্বে ষষ্ঠ হিজরীর রবিউস সানিতে জামুম নামক এলাকায় প্রেরণ করা হয়। জামুম মাররাজ জাহরান বর্তমান ফাতেমা প্রান্তরে বনু ছুলাইম গোত্রের একটি জলাশয়ের নাম। হযরত যায়েদ (রা) সেখানে পৌঁছার পর মুজাইনা গোত্রের হালিমা নামের এক মহিলাকে গ্রেফতার করেন। সেই মহিলা বনু ছুলাইমের একটি জায়গার নাম মোজাহেদদের জানিয়ে দেন। সেখান থেকে বকরিসহ বহু পশু এবং কয়েদী মুসলমানদের অধিকারে আসে। রাসূল (সাঃ) সেই মেয়েটিকে মুক্ত করে বিয়ে দেন।
---
ইরান সেনাপতির বাস ভবন। কাউকে কিছু না জানিয়ে রাণি শিরি হঠাত করেই খালেকদুনের বাড়ীতে এসে হাজির। খালেকদুনের স্ত্রী রাণিকে দেখে অবাক। রাণি আসলে অপ্রস্তুত অবস্থায় মেহরিনকে দেখতে চেয়েছিলেন। ছবিতে মেয়েটার যে রূপ দেখেছিলেন, বাস্তবে কতটা আছে তা নিজ চোখে দেখতে চান। এছাড়া শেষবার যখন মেহরিনকে দেখেছিলেন তখন সে ছোট ছিল।
রাণি মেহরিনকে বলছে “তুমি তো জান তোমার জন্য বর ঠিক করে রেখেছি। এখন তোমার বাবার আসার অপেক্ষায় আছি। তুমি তো ছেলেটিকে একবারও দেখলে না। আগামীকাল প্রাসাদে এসো, সোহরাবও আসবে। সেও তোমাকে এক নজর দেখতে চায়।”
খালেকদুনের স্ত্রী রাজী। এখানে আসার পর থেকেই মেহরিনের মুখে হাসি দেখা যায় নি। রাজ প্রাসাদ দেখলে হয়তো মেহরিনের মন ভাল হয়ে যেতে পারে। এছাড়া সোহরাবের সাথে তার বিয়ে হচ্ছে। ছেলেটাকে দেখেলেও মেহরিনের মনে পরিবর্তন আসতে পারে। সিদ্ধান্ত হল আগামীকাল তারা রাজ প্রাসাদে যাবে।
---
ইরান সম্রাটের মাথা দাসী সাবাহ এর কোলে। আজ রাতে এই দাসীর রাত। সম্রাট আজ মদ একটু বেশিই গিলে ফেলেছেন। মাতাল কন্ঠে সম্রাট বললেন “আমি যখন কনস্টেন্টিপোল বিজয় করব তখন তুমি আমার পাশে থাকবে। রোমান সম্রাট দেখবে আমার হেরেমে কত সুন্দরী আছে।” দাসী মনে মনে হাসছে। ইরান যে হারে যুদ্ধে হারা শুরু করেছে তাতে মনে হচ্ছে কয়দিন পরে মাদায়েনই রোমানরা দখল করে নিবে। দাসী বলল “আপনার বিজয় অবশ্যই হবে। রোমানরা দুই কদম এগিয়ে নিজেদের অনেক কিছু মনে করেছে। কিন্তু তারা ইরানীদের কিছুই দেখেনি। সেনাপতি খালেকদুনের নেতৃত্বে ইরানী সেনারা কিছুদিনের মধ্যে রোম সম্রাজ্যের রাজধানী জয় করবে।”
খালেকদুনের কথা শুনে সম্রাট খুশি হল “আমার বন্ধুর কাছে বাহিনীর ক্ষমতা দিয়ে আমি যতটা নিশ্চিত অন্য সময়ে ততটা ছিলাম না। তার বোন আমার মহলে আছে। সে কখনো আমার ক্ষতি চাইবে না।”
দাসী সতর্ক হয়ে উঠল। সম্রাটকে ক্ষেপানো যাবে না “আমিও মনে প্রাণে খালেকদুনের পক্ষে। তাকে নিয়ে সন্দেহের কিছু নেই কিন্তু সম্রাটকে সব দিক দিয়ে নিরাপদ থাকা উচিৎ। আপনি তো আপনার দাদার পরিণতি দেখেছেন। এছাড়া আরো অনেকের কথা শুনেছেন।”
“ওটা পারিবারিক ব্যাপার। খালেকদুন আমার পরিবারের কেউ না। পরিবারের কেউ সেনাপ্রধান হলে সমস্যা ছিল। বিদ্রোহ করার সুযোগ নিত। খালেদকুনের চাকরি চলে গেলে কেউ টু শব্দটি করবে না।”
“আমি সম্রাটের ভাল চাই। হঠাত একটা বিষয় মনে পড়ল। আপনাকে জানানো উচিৎ হবে কিনা সন্দেহ হচ্ছে। আপনি আবার কী মনে করেন........”
“তুমি হেয়ালি করো না তো, বলে ফেল কী বলতে চাইছি”আমি
“খালেকদুনের স্ত্রী ও কণ্যা মাদায়েনে এসেছেন। শুনেছি তার কণ্যাকে নাকি শাহজাদা সোহরাবের সাথে বিয়ে দেয়া হবে?”
“তাই নাকি? সেটা তো ভাল খবর। খালেকদুন তাহলে রাজ পরিবারের শশুর হয়ে যাবে। এখন রাজ পরিবারের শালা তখন হবে রাজ পরিবারের শশুড়” সম্রাট হো হো করে হাসতে লাগলেন।
দাসীর ভাবতে লাগল সম্রাটের মনে কী করে সন্দেহ সৃষ্টি করা যায়। খালেকদুনকে তিনি অনেক বিশ্বাস করেন। সোহরাবের সাথে বিয়ের বিষয়টাতে তাহলে সম্রাটের মত আছে।
দাসী “ঐ দু’জনের বিয়ে হলে আমিও খুশি। খালেকদুন আপনার প্রিয় পাত্র আর সোহরাবও আপনার প্রিয় পাত্র। বলছিলাম কি এত বড় সিদ্ধান্ত আপনার অনুমতি না হয় নাই বা নিল কিন্তু আপনাকে জানাল না কে এটাই আমার চিন্তা।”
“ঐসব বাদ দাও তো। খালেকদুন তার মেয়েকে কোথায় বিয়ে দিবে তাতে আমার কী? সেটা তার ব্যপার। এছাড়া সে তো রাজ বিদ্রোহী কারো সাথে আত্মীয়তা করছে না। সোহরাবকে আমি আমার নিজের ছেলের মত দেখি।” দাসী সেদিনের মত হাল ছেড়ে দিল।
---
শাহজাদী বিলকিসের খাস কামরা। আততায়ী মাসউদ সামনে দাঁড়িয়ে রয়েছে।
শাহজাদী “বন্দী তাহলে শেষ পর্যন্ত রাজী হয়েছে। ভাল ভাল, সব কিছু পরিকল্পনা মত এগোচ্ছে। তাকে সব ঠিক ঠাক বুঝিয়ে দিবে। সে যদি ধরা পড়ে তাহলে তুমি শেষ।”
“আপনি কোন চিন্তা করবেন না শাহজাদী। আমি সঠিক পথে এগোচ্ছি। এখন সমস্যা হল এত লোকের সামনে জায়েদের পালানোর ব্যবস্থা কীভাবে করব? সে যেহেতু মাদায়েনের গভর্ণর তাই তার নিজস্ব বাহিনী সাথে থাকবে। তারা তো কেউ ছাড় দিবে না। আমি সেই চিন্তা করছি।”
শাহজাদী “আমি সেই ব্যবস্থা করব”
মাসউদ নিশ্চিন্ত হল কারণ এই শাহজাদীর অনেক বুদ্ধি। যে করেই হোক একটা ব্যবস্থা করেই ছাড়বে। এবার তার প্রশ্ন করার পালা “আপনি বলেছিলেন একজনকে খুন করলে আমার অনেক সুনাম হবে। অনেক পুরষ্কার মিলবে। কবে, কাকে, কোথায় খুন করতে হবে?”
শাহজাদী “তোমার দুইটা প্রশ্নের উত্তর আমি দিচ্ছি। প্রথম প্রশ্ন, জায়েদের পালানোর ব্যবস্থা কী হবে?
দ্বিতীয় প্রশ্ন, তুমি কাকে খুন করবে? যাকে খুন করলে তুমি অনেক পুরষ্কার পাবে, অনেক প্রশংসা পাবে?”
শাহজাদী মুচকি হাসি দিল “তুমি সোহরাবের খুনিকে হত্যা করবে”
মাসউদের মুখ হা হয়ে গেল “মানে? জায়েদ....”
শাহজাদী “জ্বী জায়েদ। জায়েদ সবার সামনে সোহরাবকে হত্যা করবে আর তুমি জায়েদকে সবার সামনে হতা করবে। ব্যস, হিসাব মিটে গেল। জায়েদের পালানোর প্রয়োজন নেই। তুমিও মাদায়েনের গভর্ণর হত্যাকারীকে হাতে নাতে ধরে খুন করে সবার বাহবা পেয়ে যাবে।”
মাসউদের চোখ লোভে চকচক করে উঠল। কল্পনায় সে দেখছে জায়েদ সোহরাবকে হত্যা করেছে আর সে জায়েদকে হত্যা করছে।
Subscribe to:
Post Comments
(
Atom
)
No comments :
Post a Comment