মিথিলা সাজ্জাদ অ্যাডিক্টেড
যে মেয়েটা আট বা দশতলায় থাকে সেই মেয়েটাও জানালা খুলে
ঘুমুতে পারে না। ওদের ভীষণ ভুতের ভয়। মেয়েরা বুঝে না ভুত বলতে কিছু নাই!
তবে মিথিলা ব্যতিক্রম! সে জানালা না খুলে ঘুমুতে পারে না।
আজ কেন যেন মিথিলার গা ছমছম করছে। পাশের ঘরে ওর আব্বু-আম্মু, ভাই-বোন ঘুমিয়ে আছে তবুও কেমন যেন ভয়-ভয় লাগছে! ওর ইনসটিউশন বলছে এই ঘরে সে ছাড়াও আরো কেউ একজন আছে! কি অদ্ভুত ব্যাপার!
মিথিলা হেটে জানালার গ্রিলে দাঁড়িয়ে আকাশের দিকে তাকালো। অন্ধকার ঘরের জানালায় দাঁড়িয়ে আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকতে ভালো লাগছে। আকাশ ভর্তি মেঘ! এত রাতেও আকাশে মেঘ’দের ভেসে যাওয়া বোঝা যাচ্ছে।
মিথিলা হঠাৎ অনুভব করলো কে যেন তার কাধে হাত রেখেছে! সে চমকে পিছন ফিরে তাকালো! আশ্চার্য! পিছনে কেউ নেই! অথচ সে নিশ্চিত, কেউ তার কাধে হাত রেখে ছিলো!
মোবাইল বাজছে। বিছানায় ফোন। মিথিলা বিছানার দিকে এগিয়ে গেল। কে ফোন করল? সাজ্জাত? সময়ে-অসময়ে এই ছেলেটা ফট করে ফোন করে বসে। মোবাইলের স্ক্রিনে তাকিয়ে দেখে সাজ্জাত ফোন দিয়েছে। স্ক্রিনে সাজ্জাত নামটা জ্বলজ্বল করছে!
-হ্যালো, শুনছো, মিথিলা? তোমাদের ওখানে বৃষ্টি হচ্ছে? এটা শুনার জন্য ফোন দিলাম!
-ভালো করেছেন। এখন কি বলবেন? বলেন।
-বলো তো দেখি এখন কি করছি আমি?
-ছাদে সিগারেট ধরিয়ে আমার সাথে কথা বলতেছেন।
-হল না। ব্যালকনিতে চেয়ারে বসে আছি, সিগারেট খাচ্ছি। আর বাইরে ভীষণ বৃষ্টি!
-আমাদের এখানে বৃষ্টি হচ্ছে না। হলে ভালো হতো।
-কেন ভালো হতো?
-বৃষ্টিতে ভিজতাম!
-এটা কি বললা? তুমি না আমারে বলছো, ‘তুমি আমার সাথে বৃষ্টিতে ভিজবা?’
-আপনি পাগল.. হিহিহি
- ....
- হ্যালো?
-....
-হ্যালো? হ্যালো?
সাজ্জাত কথা বলছে না। মোবাইল কানে নিয়ে মিথিলা চুপ করে বিছানায় বসে আছে। সে বুঝতে পারছে না সাজ্জাত তাকে কেন ফোন দিবে? তারসাথে ওর ব্রেকআপ হয়েছে বেশ কিছুদিন আগেই। মিথিলা মোবাইল কান থেকে নামিয়ে সাজ্জাতের নাম ফোন লিস্টে খুঁজে পেল না! অথচ যখন রিঙ হচ্ছিল তখন মোবাইলের স্ক্রিনে সাজ্জাতের নামটা জ্বলজ্বল করছিল! অদ্ভুত!
হঠাৎই মিথিলা সিগারেটের গন্ধ পেল! বেনসনের গন্ধ। এই গন্ধটা মিথিলার চেনা। মিথিলা অন্ধকারেই ঘরের মধ্যে চোখ বুলালো। বাইরের আলোয় ঘরও খানিকটা আলোকিত। অথচ বন্ধ করে কেউ নাই! তবে ওর নাকে সিগারেটের এতটা তাজা গন্ধ এসে লাগছে কেন?
মাথার উপরে ফ্যান বনবন করে ঘুরছে! আবহাওয়াও বেশ ঠাণ্ডা। তবুও মিলিলা একটু-একটু ঘামছে। মিথিলা দ্রুত কাথা মুড়ি দিয়ে শুয়ে পড়লো। যা হয় হোক! ওর ঘুমুনো দরকার। ঘুমন্ত মানুষ ভয় পায় না!
মিথিলা ঘুমিয়ে পড়লো। এবং বেশ কিছুদিন পর সাজ্জাতকে স্বপ্ন দেখলো। সাজ্জাত হাসি-হাসি মুখে কোনো একটা ব্যালকনিতে চেয়ারে বসে সিগারেট খাচ্ছে! মুখ ভর্তি দাঁড়ি। সাজ্জাত খুব হাসছে....
-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------
মিথিলার স্বপ্নটুকু যে শুধু এই সাজ্জাতকে ঘিরেই তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
মিথিলা সাজ্জাদ অ্যাডিক্টেড হয়ে পরেছে। জরুরী বিত্তিতে মিথিলার চিকিৎসা করা দরকার। নইলে মিথিলার কপালে খারাপি আছে।
আজ কেন যেন মিথিলার গা ছমছম করছে। পাশের ঘরে ওর আব্বু-আম্মু, ভাই-বোন ঘুমিয়ে আছে তবুও কেমন যেন ভয়-ভয় লাগছে! ওর ইনসটিউশন বলছে এই ঘরে সে ছাড়াও আরো কেউ একজন আছে! কি অদ্ভুত ব্যাপার!
মিথিলা হেটে জানালার গ্রিলে দাঁড়িয়ে আকাশের দিকে তাকালো। অন্ধকার ঘরের জানালায় দাঁড়িয়ে আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকতে ভালো লাগছে। আকাশ ভর্তি মেঘ! এত রাতেও আকাশে মেঘ’দের ভেসে যাওয়া বোঝা যাচ্ছে।
মিথিলা হঠাৎ অনুভব করলো কে যেন তার কাধে হাত রেখেছে! সে চমকে পিছন ফিরে তাকালো! আশ্চার্য! পিছনে কেউ নেই! অথচ সে নিশ্চিত, কেউ তার কাধে হাত রেখে ছিলো!
মোবাইল বাজছে। বিছানায় ফোন। মিথিলা বিছানার দিকে এগিয়ে গেল। কে ফোন করল? সাজ্জাত? সময়ে-অসময়ে এই ছেলেটা ফট করে ফোন করে বসে। মোবাইলের স্ক্রিনে তাকিয়ে দেখে সাজ্জাত ফোন দিয়েছে। স্ক্রিনে সাজ্জাত নামটা জ্বলজ্বল করছে!
-হ্যালো, শুনছো, মিথিলা? তোমাদের ওখানে বৃষ্টি হচ্ছে? এটা শুনার জন্য ফোন দিলাম!
-ভালো করেছেন। এখন কি বলবেন? বলেন।
-বলো তো দেখি এখন কি করছি আমি?
-ছাদে সিগারেট ধরিয়ে আমার সাথে কথা বলতেছেন।
-হল না। ব্যালকনিতে চেয়ারে বসে আছি, সিগারেট খাচ্ছি। আর বাইরে ভীষণ বৃষ্টি!
-আমাদের এখানে বৃষ্টি হচ্ছে না। হলে ভালো হতো।
-কেন ভালো হতো?
-বৃষ্টিতে ভিজতাম!
-এটা কি বললা? তুমি না আমারে বলছো, ‘তুমি আমার সাথে বৃষ্টিতে ভিজবা?’
-আপনি পাগল.. হিহিহি
- ....
- হ্যালো?
-....
-হ্যালো? হ্যালো?
সাজ্জাত কথা বলছে না। মোবাইল কানে নিয়ে মিথিলা চুপ করে বিছানায় বসে আছে। সে বুঝতে পারছে না সাজ্জাত তাকে কেন ফোন দিবে? তারসাথে ওর ব্রেকআপ হয়েছে বেশ কিছুদিন আগেই। মিথিলা মোবাইল কান থেকে নামিয়ে সাজ্জাতের নাম ফোন লিস্টে খুঁজে পেল না! অথচ যখন রিঙ হচ্ছিল তখন মোবাইলের স্ক্রিনে সাজ্জাতের নামটা জ্বলজ্বল করছিল! অদ্ভুত!
হঠাৎই মিথিলা সিগারেটের গন্ধ পেল! বেনসনের গন্ধ। এই গন্ধটা মিথিলার চেনা। মিথিলা অন্ধকারেই ঘরের মধ্যে চোখ বুলালো। বাইরের আলোয় ঘরও খানিকটা আলোকিত। অথচ বন্ধ করে কেউ নাই! তবে ওর নাকে সিগারেটের এতটা তাজা গন্ধ এসে লাগছে কেন?
মাথার উপরে ফ্যান বনবন করে ঘুরছে! আবহাওয়াও বেশ ঠাণ্ডা। তবুও মিলিলা একটু-একটু ঘামছে। মিথিলা দ্রুত কাথা মুড়ি দিয়ে শুয়ে পড়লো। যা হয় হোক! ওর ঘুমুনো দরকার। ঘুমন্ত মানুষ ভয় পায় না!
মিথিলা ঘুমিয়ে পড়লো। এবং বেশ কিছুদিন পর সাজ্জাতকে স্বপ্ন দেখলো। সাজ্জাত হাসি-হাসি মুখে কোনো একটা ব্যালকনিতে চেয়ারে বসে সিগারেট খাচ্ছে! মুখ ভর্তি দাঁড়ি। সাজ্জাত খুব হাসছে....
-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------
মিথিলার স্বপ্নটুকু যে শুধু এই সাজ্জাতকে ঘিরেই তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
মিথিলা সাজ্জাদ অ্যাডিক্টেড হয়ে পরেছে। জরুরী বিত্তিতে মিথিলার চিকিৎসা করা দরকার। নইলে মিথিলার কপালে খারাপি আছে।