মরুর ফুল ৩২

শাহজাদা শেরওয়ার নেতৃত্বে বিশ জন পূজারী শাহজাদা ফররুখে মৃত দেহ সৎকারের উদ্দেশ্যে রাজ প্রাসাদের পশ্চিম দিকে যাচ্ছে। জায়েদ সেই পূজারীদের দলের মাঝখানে রয়েছে। প্রাসাদের ভিতর দিয়ে যেতে যেতে শাহজাদী বিলকিসের কামরার সামনে দিয়ে যখন যাচ্ছিল তখন জায়েদ শাহজাদা শেরওয়ার কানে কানে গিয়ে বলল “যে লোক শাহজাদাকে হত্যা করেছে সে এই কক্ষে আশ্রয় নিয়েছে।” শেরওয়া বললেন “এটা শাহজাদী বিলকিসের কক্ষ।” শেরওয়া শাহজাদা ফররুখের কক্ষে বিলকিসের ‘অতিরিক্ত’ কান্নাকাটি দেখে সন্দেহ করেছিল সে এত কাঁদছে কেন? ফররুখের পরিবারের সাথে তো বিলকিসদের পরিবারের সম্পর্ক কখনো ভাল ছিল না। এছাড়া কাঁদতে কাঁদতে সে বারবার খালেকদুনের মেয়েকে হত্যার জন্য দোষারোপ করছিল। এখন শেরওয়া বুঝেছে নাটের গুরু তাহলে শাহজাদী বিলকিস! সেই এইসব খেলা খেলছে। তার কাছে হিসাব নিকাশ পরিষ্কার হয়ে গেল। রাণি শিরির কারণে বিলকিসের ভাইয়ের ফাঁসি হয়। বিলকিস নিশ্চয়ই সেই প্রতিশোধ নেয়ার জন্য এতগুলো কাজ করেছে? এখন আর এসব ভাবার সময় নেই। আর দুই একটা কাজ করতে পারলেই শাহজাদা শেরওয়া ইরানের মসনদে বসবে। পথের প্রধান বাঁধাগুলোকে এখন সরিয়ে ফেলতে পারলেই হল।
---
আততায়ী মাসউদ রাজ প্রাসাদের মূল ভবনের বাইরে যেখানে রাজকীয় সেনাদের অফিস সেখানে চলে গেল। তার উদ্দেশ্য মেহরিন ও তার মাকে হত্যা করা। কিন্তু তার কপাল খারাপ। সেখানে গিয়ে দেখে রাজকীয় সেনারা সম্রাটের হুকুম মানার উদ্দেশ্যে ইতি মধ্যে মেহরিন ও তার মাকে পাহারা দিয়ে রাজ দরবারে নিয়ে যাচ্ছে। আর কিছুক্ষন পরেই শাহজাদার লাশ সৎকার করা হবে। তখন সম্রাট নিজ হাতে এদের হত্যা করে সন্তান হত্যার প্রতিশোধ নিবেন। মাসউদের চোখের সামনে দিয়ে তার দুই শিকারকে রাজকীয় সেনারা দরবারে নিয়ে যাচ্ছে। তার কিছুই করার নেই। অবশ্য যা করার সম্রাট নিজেই করবেন।
---
জায়েদ পূজারীদের পোষাক পরিধান করেছে। তার পোষাকের আড়ালে একটা ধারালো ছুরি। ছুরিটা শেরওয়া দিয়েছে। জায়েদ প্রথমে সন্দেহ করেছিল এত লোকের মাঝে প্রধান পূজারীকে সে কীভাবে চিনবে? কারণ সেখানে গেলে শেরওয়ার সাথে তার কথা বলা নিশেধ। শেরওয়া বলেছেন প্রধান পুজারীকে তিনি তার দলের মধ্যে ভেড়ানোর চেষ্টা করবেন। ভীড়ের মধ্যে প্রধান পূজারীকে দেখেই জায়েদ চিনে ফেলল। তার চেহারা ও পোষাকই বলে দিচ্ছে এই লোকই মাকান, ইরান সম্রাটের প্রিয় পাত্র, প্রধান অগ্নি পূজারী। তিনি সম্রাটের খুব কাছাকাছি অবস্থান করছেন। সম্রাটের দেহ রক্ষীরা সম্রাট ও পূজারী দুই জনকেই ঘিরে রেখেছে। এমনকি আশেপাশে কোন শাহজাদাকে ভিড়তে দিচ্ছে না। সৎকার শেষ হয়ে গেল কিন্তু প্রধান পূজারী জায়েদের ধরা ছোঁয়ার বাইরেই রয়ে গেল। সম্রাট এবার দরবারের দিকে চললেন। তার সাথে সাথে প্রধান পুজারীও গেলেন। পেছন পেছন লাইন ধরলেন সব শাহজাদা, শাহজাদী ও রাণির দল। জায়েদও শাহজাদা শেরওয়ার দলে ঢুকে গেল। দরবারের অনেক কড়া নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে জায়েদকে প্রবেশ করতে হল। শেষ যে গেইট আছে সেখানে প্রহরী জায়েদকে আটকাল “আপনাকে তো এর আগে কখনো দেখিনি?”
শাহজাদা শেরওয়া কাছেই ছিলেন। তিনি প্রহরীকে বললেন “সে প্রধান পূজারীর লোক। তাকে ঢুকতে দাও।” প্রহরী তাকে ছেড়ে দিল।
দরবারে ঢুকে জায়েদ এত অবাক হল যে বলার মত না। কী নেই এই দরবারে? ছোটকালে সে রাজ বাদশাহর গল্প শুনেছে কিন্তু এই প্রথম সে বিশ্বের সবচেয়ে বড় সম্রাটের দরবারে প্রবেশ করেছে। বিশাল এই দরবার কক্ষ যে কর বড় তা জায়েদের ভাবনাতেও আসছে না। দুই পাশে কয়েক সারিতে দরবারীদের বসার আসন। চেয়ারের চেহারা দেখেই বোঝা যায় সামনের চেয়ারগুলো অনেক দামী। সম্রাটের আসনও সে দেখতে পেল। পুরোটা সোনা দিয়ে তৈরি এই আসনে অসংখ্য রত্ন রয়েছে। সম্রাটের মুকুটও আসনের পাশে একটা ছোট্ট টেবিলে পড়ে আছে। সেই মুকুটের হীরা পান্না মনি মুক্তা সবই আছে। আসনের আশেপাশে অসংখ্য সুন্দরী দাসী আসনের শোভা বর্ধন করছে। কারো হাতে পানের পেয়ালা, কেউ বাতাস করছে... এভাবে বলে শেষ করা যাবে না। একে একে দরবারীরা সবাই প্রবেশ করেছে। সবাই সম্রাটের আসন গ্রহনের অপেক্ষায় রয়েছে। সম্রাট বসলেই সবাই বসবেন।
আসন গ্রহন করেই সম্রাট হুংকার দিলেন “কোথায় শাহজাদা ফররুখের হত্যাকারী?” দরবারীরা একটু নড়েচড়ে বসল। অনেকেই জানেন যে শাহজাদা ফররুখ অসুস্থ। কিন্তু তাকে যে হত্যা করা হয়েছে তারা এই প্রথম জানল। সম্রাটের ছেলেকে এত নিরাপত্তার মধ্যে যে কেউ হত্যা করতে পারে তা তাদের অজানা ছিল। তাই সবাই হত্য কারীদের দেখার জন্য নড়চড়ে বসল। হত্যাকারীদের দেখার পরে দরবারে একটা চাপা গুঞ্জন শুরু হল। মেহরিনের অপরূপ রূপ দেখে দরবারীরা মুগ্ধ হয়ে গেল। এই মেয়ে কী করে হত্যা কারী হয় তা কারো মাথায় আসছিল না। মেয়ের পাশে মধ্য বরস্ক মহিলার চেহারা দেখেই বোঝা যাচ্ছে এরা মা মেয়ে। মহিলাকেও দেখে সম্ভ্রান্ত পরিবারের মহিলা মনে হল। এত সুন্দর মেয়ে শাহজাদাকে হত্যা করল! কোন কোন দরবারী ইচ্ছা হল সম্রাট যদি এই মেয়েকে বিক্রি করে দিতেন তাহলে এরা যত সম্পদই লাগুক না কেন তার বিনিময়ে মেয়েটাকে কিনে ফেলত!
সম্রাট মেহরিন ও তার মাকে দেখে হুংকার দিলেন “তোদের এত বড় সাহস কী করে হয় যে আমার ছেলের গায়ে হাত তুলিস? আজ তোদের হাত কাটব, তারপর তোদের চোখ উপড়ে ফেলব। মাদায়েন বাসী দেখবে শাহজাদাদের দিকে হাত বাড়ালে তার কী পরিণাম হয়।”
দরবারীরা অবশ্য সম্রাটে শাহজাদাদের প্রতি দরদের কথাটা বিশ্বাস করল না। এখনো মাদায়নের কারাগারে সম্রাটের ভাতিজার সম্পর্কে অনেক শাহজাদা জেল খাটছে। সম্রাট কিছুদিন আগে তার নিজের ছেলেকেও হত্যা করেছেন। এছাড়া নিজের জন্য হুমকি এমন সব ছেলেকে রাজ কার্য থেকে নিষ্ক্রিয় করে রেখেছেন। এর মধ্যে শাহজাদা শেরওয়া অন্যতম।
“আমি বুঝতে পারিনি শাহজাদার হাতের সামান্য আঘাতে ওনার মৃত্যূ হবে। এছাড়া আমি ইজ্জত বাঁচানোর জন্য ওনার হাতে আঘাত করি। তা যে ওনার মৃত্যূ ডেকে আনবে তা বুঝতে পারিনি।” মেহরিন শান্ত কন্ঠে জবাব দিল।
“ইজ্জত? তোদের আবার ইজ্জত? এক শাহজাদার কাছে আসা তোর জন্য সৌভাগ্যের ব্যাপার, আর তুই তাকে ইজ্জতের জন্য হুমকি মনে করছিস?” দরবারীরা কিছুটা আন্দাজ করল। তারা ফররুখের চরিত্র সম্মন্ধে জানে। কিন্তু এদের অবাক হওয়া এখনো শেষ হল না কারণ এক শাজাদা যদি চান তাহলে মাদায়েন বাসী তার স্ত্রীকেও শাহজাদার কাছে দিতে বাধ্য থাকে। অথচ এই মেয়ে কী না ইজ্জতের কথা বলছে!
“আমার পিতা আপনার সেনাবাহিনীর সিপাহসালার। আপনার এক সময়কার বন্ধু। সুখে দুঃখে তিনি আপনার সাথেই ছিলেন। আপনি যখন অসহায় ছিলেন তখন তিনিই আপনাকে রোমান সম্রাটের কাছে নিয়ে গিয়েছিলেন। আজ আপনি আমার ইজ্জতের মূল্য দিচ্ছেন না? তিনি সাহায্য না করলে আজ আপনি সম্রাট হতেন না। ফোরাতের স্রোতে আপনি ভেসে যেতেন।”
দরবারীদের এবার অবাক হবার পালা। এ মেয়ে তাহলে খালেকদুনের মেয়ে? যে খালেকদুন সম্রাটের অন্যতম ঘনিষ্ঠ বন্ধু। তার পরিবারের সাথে সম্রাটের আত্মীয়তা রয়েছে। খসরু পারভেজের বিপদের সময়ে কয়েকজন তরুন সেনা অফিসার খসরু পারভেজকে লুকিয়ে মাদায়েন থেকে নিয়ে রোমান সম্রাটের কাছে নিয়ে গিয়েছিল তাদের মধ্যে একজন হলেন খালেকদুন, যার উছিলায় খসরু পারভেজ আজ সম্রাট হতে পেরেছেন। সেটা প্রায় তিরিশ বছর আগের কাহিনী। শাহজাদা ফররুখের হত্যাকারী যে এই মেয়ে তার চেয়ে বরং বেশি অবাক হওয়ার মত ঘটনা হল সম্রাট তার সবচেয়ে প্রিয় বন্ধুর মেয়েকে হত্যা করতে যাচ্ছেন।
মেহরিনের কথা গুলি সম্রাটের কানে আগুনে মত শোনাল। তিনি মেহরিনের কথা শুনে অবাক হলেন। মৃত্যূ মুখেও এদের এই ধরনের ভাষা! তিনি রেগে আগুন হয়ে গেলেন। বললেন “আমি শুধু তোদেরকেই নয় তোর বাবার হত্যার আদেশ লিখেও যুদ্ধ ক্ষেত্রে লোক পাঠিয়েছি। দুই একদিনের মধ্যে খালেকদুনের কাটা মাথা নিয়ে দূত এখানে পৌঁছুবে।”
সম্রাটের এ বক্তব্যে দরবারীরা কিছুক্ষনের জন্য থমকে গেলেন। গোটা দরবারে পিন পতন নিরবতা। সম্রাট এতদিন যে কথা গোপন রেখেছিলেন রাগে আজ সেই কথা প্রকাশ করে দিলেন। কিছুক্ষনের মধ্যে দরবারে ফিসফাস শুরু হল। ফিসফাস বেড়েই চলল। ক্রমান্বয়ে তা শোরগোলে পরিণত হল। এক দল দরবারী আরেক দল দরবারীর সাথে তর্ক শুরু করল। সম্রাটের মোসাহেবরা ভালই বিপদে পড়েছে। সম্রাট নিজের ভুল বুঝতে পারলেন। মাদায়েনে খালেকদুনের বন্ধুর অভাব নেই। তার বংশের কয়েকজন মন্ত্রী, উচ্চ পদস্থ সেনা অফিসার দরবারে উপস্থিত রয়েছেন। সম্রাটের পরিকলনা ছিল দূত গিয়ে সহ-সেনাপতিকে সম্রাটের চিঠি দিবে। দূতের চিঠি পেয়ে সে খালেকদুনকে হত্যা করবে আর নিজে সেনাপতির দায়িত্ব গ্রহন করবে। সম্রাট খালেকদুন হত্যা কান্ডকে সেনা বিদ্রোহ বলে চালিয়ে দিবেন। এখন ভরা মজলিসে এই কথা তিনি নিজেই ফাঁস করে দিয়েছেন। এখন কী করবেন? তাকে বিপদ থেকে রক্ষা করতে এগিয়ে গেল জায়েদ!
জায়েদ ভীড়ের মধ্য থেকে এগিয়ে গিয়ে বলল “খালেকদুনের মেয়ে শাহজাদাকে হত্যা করেনি। ওনাকে হত্যা করেছে আপনারই এক সেনা অফিসার।”
জায়েদ রাজকীয় বাহিনীর পোষাক পরা এক সেনা অফিসারের দিকে আঙ্গুল তুলল। মাসউদ মেহরিনদের পাশে পাশেই দরবারে এসেছিল। জায়েদ তাকে দেখেই চিনে ফেলেছে।
মাসউদের দিকে পুরো দরবারের চোখ ঘুরে গেল। মাসউদ আকাশ থেকে পড়ল! জায়েদ দরবারে প্রবেশ করল কীভাবে? সে চিৎকার করে বলল “আমি কিছু করিনি। এই ছেলে বরং এক রাজকীয় সেনাকে হত্যা করে লুকিয়ে ছিল। এর নাম জায়েদ। রাজকীয় সেনারা একে অনেক দিন ধরে খুঁজছে।” মাসউদ কথা শেষ করতে পারল না। তার আশেপাশের সেনারাই তার অস্ত্র কেড়ে নিয়ে তাকে ধরে সম্রাটের কাছে নিয়ে গেল। সম্রাটও দেখলেন অবস্থা বেগতিক। এই অবস্থায় মেহরিন ও তার মাকে হত্যা করলে ঝামেলা হবে। তিনি জায়েদের দিকে তাকালেন “তুমি কি নিশ্চিত এই লোকই শাজাদাকে হত্যা করেছে? তার গায়ে তো নতুন কোন আঘাত পাওয়া যায় নি।”
“এই লোকটি শাহজাদার ঔষধে বিষ মিশিয়ে দিয়েছিল”
“অসম্ভব! আমি কী করে শাহজাদার কক্ষে যাব?” মাসউদ প্রতিবাদ করল।
এমন সময় রাজ প্রাসাদের প্রধান হেকিম দৌড়ে এল। তিনি বললেন “জাহাঁপনা, এই আরব ছেলেটি সত্য বলছে। শাহজাদার ঔষধে বিষ মেশানো ছিল।”
সম্রাট খাপ থেকে তার তলোয়ার খুললেন। তিনি মহা সুযোগ পেলেন। দরবারীদের দৃষ্টি অন্য দিকে ঘোরাতে হবে। তা না হলে বিপদ হবে। “তোকে শেষ সুযোগ দিচ্ছি, কার আদেশে তুই শাহজাদাকে মেরে ফেলেছিস?” তলোয়ারের ফলা মাসউদের গলায় ঠেলাকেন।
“শাহজাদী বিলকিস...”
মাসউদ বাক্যটা শেষ করতে পারল না। তার আগেই একটা তীর তার হাতে বিঁধল! তীরন্দাজ জায়েদের কাছাকাছিই অবস্থান করছিল, সেনা গোয়েন্দা অফিসার। তাকে জায়েদ প্রথমবার দেখেছিল। সে যখন সবার অলক্ষ্যে ধনুকে তীর সেট করছিল ঠিক তখনই জায়েদ ছুরি বের করে তাকে লক্ষ্য করে ছুঁড়ে দিল। সেনা গোয়েন্দা অফিসার ভেবেছিল সে তীর মেরে পেছনের দিকে পালাবে, সে ব্যবস্থা সে করে রেখেছিল। কিন্তু জায়েদ যে তাকে দেখে ফেলেছে সেই দিকে তার খেয়াল নেই। সবার দৃষ্টি যখন সম্রাট আর মাসউদের দিকে তখন জায়েদের দৃষ্টি ছিল সেনা গোয়েন্দা অফিসারের দিকে। জায়েদের ছোড়া ছুরি সেই অফিসারের হাতে আঘাত করল। যার ফলেই তীরটা মাসউদের পিঠে বিঁধে নাই, হাতে বিঁধেছে। একদিকে মাসউদের চিৎকার আরেকদিকে সেনা গোয়েন্দা অফিসারের চিৎকার। রাজকীয় সেনারা দ্রুত গোয়েন্দা অফিসারকে ধরে ফেলল। সে বাঁধা দিতেই সেনারা তাকে হত্যা করল। সম্রাট হাঁফ ছেড়ে বাঁচলেন। সবাই এখন খালেকদুনের বিষয়টা ভুলে গেছে। এবার শাহজাদী বিলকিসের মৃত্যু দন্ডটা কার্যকর করতে পারলেই দুই একজন যারা এখন খালেকদুনের কথা মনে রেখেছে তারাও ভুলে যাবে। ইতি মধ্যে সেনারা শাহজাদী বিলকিসকে ধরে এনেছে। তার মুখে কোন কথা নেই। সম্রাট নিজ হাতে শাহজাদীকে হত্যা করলেন।
এদিকে সেনারা বুঝতে পারছে না মেহরিন, তার মা ও জায়েদকে কী করবে? সম্রাট আদেশ দিলেন “এদের সবাইকে বন্দী কর। আমার ছেলে শাহজাদা মারোজা আগামী সপ্তাহে সম্রাট হয়ে এদের ব্যপারে সিদ্ধান্ত দিবে।”
সম্রাট হৈ হট্টগোলের মধ্যেই ঘোষনা দিলেন “আগামী সপ্তাহের প্রথম দিন তিনি অবসর গ্রহন করবেন। সেই দিনই শাহজাদা মারোজার মাথায় তিনি ইরান সম্রাজ্যের মুকুট পরিয়ে দিবেন।
রেসিপি দেখুন
No comments :

No comments :

Post a Comment